পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांनांङ्कज्ञ भtt, ५२४२) হইলে রসসাগর কছিলেন “ বিশ্বাস মহাশয়কে জিজ্ঞাসা কৰুন।’ লক্ষনীকাস্তু কহিলেন “ এ ঠাকুরটর আটপুণের অর্থাৎ দৈবজ্ঞ ব্রাহ্মণের মত আকার কি না আপনার বিবেচনা করিয়া দেখুন । ” রসসাগর প্রত্যুত্তরে কছিলেন, “হ আমি আট পুণে বটে, কারণ আমার দুই চোক, কিন্তু এ বেটার চারি পোণে এক চোক । ” ইহা শুনিয়া সকলে হাসিতে লাগিলেন । এক দিন সন্ধ্যাকালে এক সম্প্রদায় রাঢ় অঞ্চলীয় কলীয় দমন যাত্রা ক্লষ্ণনগরের আনন্দময়ী তলায় আসিয়া উপস্থিত হইল । রসসাগর ও র্তাহার কতিপয় সমবয়স্ক আত্মীয় আনন্দময়ী দর্শনে গমন করিয়া যাত্রা সম্প্রদায়ের সন্ধান পাইলেন, এবং সেই রাত্রে পাড়ার মধ্যে তাহদের গানের বায়মা করিলেন । যাত্রা আরম্ভ হইল, এমন সময়ে যে ব্যক্তি যশোদা সাজে তাহার পীড়া হইল, সকলের অনুরোধে রসসাগর । যশোদা সাজিলেন । ব্রজ গোপীগণ যশোদার নিকট কহিল, “ মা যশোদা কৃষ্ণ আমাদের ননী চুরি করে খেয়েছেন;" যশোদা কৃষ্ণকে কছিলেন, “বাপু চুরি করা মহা পাপ, এমন কৰ্ম্ম আর কখনো কর না।” দ্বিতীয়বার ব্রজগোপীগণ ঐ রূপ অভিযোগ করিল। যশোদা পুনরায় কৃষ্ণকে কছিলেন, “কৃষ্ণ ! কাজ বড় অন্যায় হচ্চো, আমি রসসাগর । ు కi একবার বারণ করেছি, তথাপি তোমার চৈতন্য হলো না ? পুনরায় এমন কাজ হলে তোমাকে বিলক্ষণ দণ্ড দিব।" ব্রজগোপীগণ তৃতীয়বার আসিয়া অভিযোগ করিল, “ মা, কৃষ্ণের জ্বালায় অণর আমাদের এখানে বাস করা ছয় না। এবার ছিকে ছিড়ে ভাণ্ড ভেঙ্গে ননী চুরি করে খেয়েছে। ” এই কথা বলিবামাত্র যশোদা রূপী রসসাগর ক্রোধে অন্ধ হইয়া বাম হস্তে কৃষ্ণের চূড়া ধরিলেন এবং দক্ষিণ হস্তে এক খানি জুতা লইয়া প্রহার করিতে ২ কহিতে লাগিলেন, “ বেটকে দুই দুই বার বারণ করেছি, তথাপি চুরি । আজ ননী চুরি, কাল ধীর চুরি, পরশু ঘটাি চুরি, এই রকম করে আমাকে কাদাবে মনে করেছ ? ” প্রহারের জ্বালায় অস্থির হইয়া কৃষ্ণ চীৎকার করিতে লাগি লেন, যাত্রা ভাঙ্গিয়া গেল, শ্রোতৃবর্গ হাসিয়া মজলিশ ফাটাইয়া দিলেন । একদা রাণাঘাটে পালচৌধুরী বাবুদের বাটীতে গোবিন্দ অধিকারীর যাত্রা হইতেছে । রসসাগর প্রভূতি কয়েকজন ভদ্রলোক শুনিতে আসিয়াছেন, কিন্তু এত লোক সমারোহ হইয়াছে যে, তাহারা বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিতেছেন না । কিরূপে প্রবেশ করা যায় ভাবিতেছেন, এমন সময় বামুদেব সাজিয়া প্রবেশ করিতেছে । রসসাগর তাহাকে সজোরে ধরিলেন, মুনিীেসাই