পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ستاه نه বাসুদেব বলিয়া যতই চীৎকার করে, বাসুদেব ততই চীৎকার করিয়া উত্তর দেয় যে “ আমার নড়িবার যে নাই, আমাকে এক বামুনে ধরেছে।” বাবুরা চমৎকৃত হইয়া বাহিরে অসিয়া দেখেন যে রসসাগর বাসুদেবকে ধরিয়া টানাটানি করিতেছেন । কারণ জিজ্ঞাসা করিলে রসসাগর কহিলেন, “ এরূপ মা করিলে বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিতে পাই কৈ ?” তাহারা তখন আগ্রহাতিশয় সহকারে রসসাগর ও তৎসঙ্গীদিগকে বাটীর মধ্যে লইয়া গিয়া উত্তম স্থানে বসাইয়া দিলেন । এরূপ উপায় অবলস্বন না করিলে গৃহ প্রবেশ দুঃসাধ্য छ्झेऊ । রসসাগরের এরূপ কাৰ্য্য অনেক আছে, বাহুল্য ভয়ে তাহার অবতারণা করিলাম না। এক্ষণে র্তাহার কতিপয় সমস্যা পূরণ প্রকাশ করা যাইতেছে। একদা রাজা গিরিশ্চন্দ্র অন্তঃপুরে রাণীর সহিত কি কলহু করিয়। রাণীকে বিবিধ অপ্রিয় বচন কহেল, তাহতে রাণী কহেন “ তুমি স্বামী, ভগবান তোমাকে বলতে দিয়াছেন,বল বল বল। রাজা ক্রেণধভরে বাহিরে আসিতেছেন, সম্মুখে রসসাগরকে দেখিয়া প্রশ্ন করিলেন—“ বল বল বল । * রসসাগর পূরণ করিলেন – দম্পতি-কলহে স্বামী হয়ে ক্রোধ মন । কছেন প্রেয়সী প্রতি অপ্রিয় বচন ॥ রসসাগর । (জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ পতি বাক্যে সতী-চক্ষে জল ছল ছল। বলিতে দিয়াছে বিধি বল বল বল ॥ পাঠকবর্গ দেখুন, রসসাগর কতদূর ক্ষমতাপন্ন দ্রুত কবি ছিলেন"। প্রশ্ন কারীর অবস্থা দর্শনে মনের ভাব অনুভব করিতে পারিতেন । একদা রাজা প্রশ্ন করিলেন, “পায়, পায়, পায় না? রসসাগর তৎক্ষণাৎ পূরণ করিলেন – চিনিতে নারিনু আমি, তাইল জগৎ স্বামী, মাগিল ত্রিপদ ভূমি, আর কিছু চায় না। খৰ্ব্ব দেথি উপহাস, শেষে দেখি সৰ্ব্বনাশ স্বৰ্গ মর্ত্য দিয়ে আশ, পরিতে{ষ হয় না ৷ দিয়া সকল সম্পদ, বাকি আছে এক পদ, এ দেথি ঘোর বিপদ, ঋণ শোধ যায় না । কি তার জিজ্ঞাস প্রিয়ে, বৃন্দাবলী দেখ গিয়ে অখিল ব্রহ্মাণ্ড দিয়ে, পায় পায় পায় না । রাজা সন্তুষ্ট হইয়া তৎপরে জিজ্ঞা সিলেন “ পায় পায় পায় । * রসসাগর পূরণ করিলেন ; কেঁদে কহে বৃন্দাবলী, বলিরাজ শুন বলি অtfসয়াছে বনমালী, ছলিতে তোমায় । হেন ভাগ্য কবে হবে, যার বস্তু সেই লবে, জগতে ঘোষণা রবে, বলি জয় জয় ॥ এক পদ আছে বক্রী, প্রকাশ করিলে চক্রী, এ দেহ করিয়া বিক্রী, ধরহে মাথায় । •তুমি আমি দুজনের, ঘুচিল কর্থের ফের মিলাইবে বামনের, পীয় পায় পায় ॥ অনেকে কহেন উপরি উক্ত কবিতাদ্বয় রসসাগরের নহে, উহা রায় গুণাকর ভারতচন্দ্রের রচিত, কিন্তু আমরা বিশেষ অনুসন্ধান দ্বারা অবগত হইয়াছি, যে রসসাগরই উক্ত কবিতাদ্বয়ের প্রণে