পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১ o র্তাহাদের পার করিতে কোনমতে স্বীকত হয় না ; তাহার কারণ এই যে মাঘী পূর্বেই শুনিয়াছিল, রামচন্দ্রের পদম্পর্শে অহল্য পাষাণী মানবী হইয়াছে। সে কহিল পাছে নৌকাও মানুষ হয় এই ভয়ে সে পার করিতে সাহসী নয় । মাবী এই ভাবে অপভাষায় বিশ্বামিত্রকে সম্বোধন করিয়া উপরি উক্ত শ্লোক কহে । একদা প্রশ্ন হইল “ বড় দুঃখে সুখ ৷ ” রসসাগর পূরণ করিলেন – চক্রবাক চক্রবাকী একই পিঞ্জরে । নিশিতে নিষাদ আগনি রণখিলেক ঘরে চক কয় চকী প্রিয়ে এবড় কৌতুক । বিধি হতে ব্যাথ ভাল বড় দুঃখে সুখ ॥ একদা রসসাগর কতিপয় বন্ধু সমেত শান্তিপুরের ঘাটে স্বান করিতেছেন, এমন সময় ডাকওয়ালা আসিয়া ঘাটে নৌকা নাই দেখিয়া মুকুন্দ নামক ঘাটমাঝাঁকে “ মুকুন্দ, মুকুন্দ ” বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিল । এমন সময় একজন কহিলেন “ রসসাগর । মুকুন্দ মুরারে।” রসসাগর পূরণ করি লেন – পাপের পুলিন্দা বতে ভগ্ন হলো পা রে । নিয়মিত ঘন্টা মধ্যে যেতে হবে পারে ॥ নায়েতে নাহিক মাৰী ডাক রসনারে । গোপাল গোবিন্দ কৃষ্ণ মুকুন্দ মুরারে ॥ রসসাগর । (জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ পাঠক মহাশয় দেখিবেন, উপরি ক্ত কবিতায় দুই ভাব লক্ষিত হুইবে । একদা প্রশ্ন হইল, “ বদর বদর । * রসসাগর পূরণ করিলেন – প্রকোষ্ঠ ভাঙ্গিলে হয় সকলি সদর । টাকা কড়ি না থাকিলে না থাকে কদর শাল ৰুমাল ঘুচে গেলে চাদরে আদর। পাথরে পড়িলে তরি বদর বদর ॥ রামগোবিন্দ নামক একজন শান্তিপুর নিবাসী গোস্বামী ভট্টাচাৰ্য্য একদিন রাজসভায় উপস্থিত হইয়া রসসাগরের সহিত সাক্ষণতের পর *" লাগে ভীর না লাগে তুক্কা ” এই প্রশ্ন করিলেন । তাছাতে রসসাগর গোস্বামী মহাশরকে লক্ষ্য করিয়া নিম্ন লিখিত উত্তর করিলেন – গোসাই গোবিন্দ প্রেমের ভুঙ্কা । গ্রন্থপাঠ গাজা হু ক্লা ॥ ধরেন কান লাগান ফুক্কা । লাগে তাঁর না লাগে তুক্কা ॥ একবার প্রশ্ন হইল “ সেই তো বটে এই । * রসসাগর উত্তর করিলেন – তরি বৈ আমার হরি আর কিছুই নেই। , চরণ দুখানি আন আপনি ধুয়ে দেই। নাবিক স্বজাতি পদ পরশিলে যেই । ভবনদীর কাণ্ডারী সেই তো বটে এই। ক্রমশঃ । $oo-ooooomos