পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনাস্থর মাঃ, ১২৮২) সঙ্গীত-শাস্ত্রণমুযায়ী স্বত্য ও অভিনয় ।

  • So

সঙ্গীত-শাস্ত্রানুযায়ী নৃত্য ও অভিনয় । ( স্ত্রীরামদাস সেন প্রণীত । ) মৃত্য মনুষ্যের স্বভাবসিদ্ধ এবং কি আদিম কালে, কি আধুনিক সুসভ্য কালে সকল সময়েই ইহা প্রচলিত । আদিমকালে অসভ্য নৃত্য এক্ষণে সভ্য কালে নানা রূপান্তর সহকারে, সভঃ সমাজের অভিনয় প্রথার একটী প্রধান অঙ্গ হইয়া দাড়াইয়াছে। পৃথিবীর সকল জাতির মধ্যেই মৃত্য চিরকাল হইতেই প্রচলিত। সকল প্রকার ধৰ্ম্ম গ্রন্থেই নৃত্যের উল্লেখ আছে। স্বয়ং মহাদেব মৃত্য করিতেন, স্বর্গে গন্ধৰ্ব্বকন্যাগণ নৃত্য করিয়া দেবতাগণের মনোহরণ করিতেন। মহর্ষি ভরত নাট্য শাস্ত্র প্রণেতা, তিনিই স্বর্গে অপসরাগণকে মৃত্য শিক্ষণ দিতেন। দেব মন্দির প্রদক্ষিণ করিয়া নৃত্য করিলে মহাপুণ্য সঞ্চার হয় । চৈতন্যদেব বৈষ্ণববৃন্দকে হরিনামোচ্চারণ পূর্বক মৃত্য করিতে বিশেষ উপদেশ দিয়াছিলেন। অঁতি প্রাচীন কালে ঐীকগণ উৎসব উপলক্ষে মৃত্য ও গান করিতে করিতে গ্রাম্য দেবতার মন্দির প্রদক্ষিণ। করিত। রাহুদিগণের মধ্যে মৃত্য অতি প্রাচীন কালেও প্রচলিত ছিল। ইড্রেলগণ শুষ্ক বালুক ভুমির স্থায় লোহিত সাগর পার হইলে, মোর্সেস এবং মিরাএম আনন্দ ধ্বনি সহকারে মৃত্য করিয়াছিলেন। ডেবিডও মৃত্য করিতেন। ঐীকগণের মৃত্য অভিনয় প্রথার অন্তভূত। র্তাহাদিগের ইউমিনিডেশের অর্থাৎ ভয়ানক রসের মৃত্য দেখিয়া অনেকের হৃদয়ে ত্রাস উপস্থিত হইত । গ্ৰীক শিণপবিদ্যা বিশারদগণের প্রস্তর নিৰ্ম্মিত প্রতিমূৰ্ত্তিতে মৃত্যের বিবিধ ভঙ্গী প্রদর্শিত হইয়াছে। হোমর, অরিস্ততল, পিণ্ডার সকলেই স্ব স্ব গ্রন্থে নৃত্যের বিশেষ উল্লেখ করিয়াছেন, বিশেষতঃ আরিস্ততল মৃত্যের বিবিধ প্রণালী উদ্ভাবন করিয়া “ পোইটকৃশ ” গ্রন্থ মধ্যে লিখিয়াছেন। স্পার্টানগণ যুদ্ধ কালে মৃত্য করিবার জন্ত পঞ্চমবর্ষ হইতে নৃত্য শিক্ষা করিত এবং তাছার এজন্য উত্তম পারদর্শী শিক্ষক দ্বারা শিক্ষিত হইত। তাহাদিগের যুদ্ধের এই মৃত্যের নাম “ পাইরিক ” নৃত্য। প্রাচীনকাল হইতেই প্রকাশ স্থলে নৃত্যু ব্যবসায়ী নটগণের দ্বারা প্রদর্শিত হইত। সম্ভ,ান্ত রোমকগণ ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য ভিন্ন আমোদের জন্ত নৃত্য করিতেন না । আমোদের নিমিত্ত নৃত্য ব্যবসায়ীগণ দ্বারা সম্পাদিত হইত। মিশরদেশে নর্তকীগণের নাম আলমী। তাহারণ উত্তম উত্তম কবিতা গান করিতে করিতে মৃত্য করে, ইহার সহিত হিন্দুস্থানী নাচের সাদৃশ্ব আছে । ইউরোপীয়গণের মধ্যে “ বলে"