পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১২১

SS ९ সম্ভণন্তবর্গ হইতে সাধারণ লোক সকলেই মৃত্য করিয়া থাকেন। কোন কামিনী বা পুরুষ যিনি “ বলে ” নাচিতে না পাৱেন, তিনি অকৰ্ম্মণ্য,— সভ্য সমাজে ভুক্ত হইবার যোগ্য নহেন। এই “ বলের” ও মৃত্য বিবিধ প্রকার যথা—পোলক, কোয়াড়িল, কনটড্যানশ, ইত্যাদি ; ইহা ভিন্ন অভিনয় কাৰ্য্যে অনেক প্রকার মৃত্য আছে—যথা —ব্যালেট, প্যাণ্টোমাইম প্রভৃতি। আমরা এই প্রবন্ধের শীর্মদেশের প্রস্তাবানুসারে বিদেশীয় কোন নৃত্যের উল্লেখ না করিয়া সংস্কৃত সঙ্গীত শাস্ত্রানু্যায়ী প্রাচীন ও মধ্যকালের অর্ষ্য জাতির নৃত্যের বিবরণ লিপি বদ্ধ করিতেছি । আমাদিগের পুরাণ ও ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে নৃত্যের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় ; যথা মার্কণ্ডেয় পুরাণে--- “নৃত্যেনালমরূপেনসিদ্ধিনাট্যস্য রূপতঃ। চাৰ্ব্বাধিষ্ঠান বস্তৃত্যং মৃত্য মন্ত্যদ্বিড়ম্বনা।” এই শ্লোক দ্বারা রূপহীন নট বা নটীর মৃত্যকে নিন্দ করিতেছেন। বরাহ পুরাণে—“মৃত্যমনস্য ফলং যচ্চ বসুন্ধরে ” ইত্যাদি বাক্য দ্বারা শোকর মাহীত্ম্যে নর্তকের গতি কথিত হইয়াছে । অগ্নি পুরাণে—“ দৃষ্ট্রাসম্পূজিতং দেবং মৃত্য মনোহ্নুমোদয়েৎ’। অর্থাৎ দেবতার পূজা দেখিয়া যথাশাস্ত্র মৃত্য দ্বারা হর্ষ বিস্তার রুরিবেক । সঙ্গীত-শাস্ত্রণমুযায়ী হত্য ও অভিনয় । (জ্ঞানাঙ্কুর মাঃ, ১২৮২ পুনশ্চ বিষ্ণু ধৰ্ম্মেত্তিরে “যে মৃত্যুতি প্ৰহৃষ্টাত্মা ”—“ মৃত্যং দত্বা তথাপ্নোতি রুদ্রলোকমসংশয়ম ”—“ স্বয়ং নৃত্যেন সম্পূজ্য তস্যৈবানুচরোডবেৎ।।" “ মৃত্যতাং স্ত্রীপভেরগ্রে তালিকা বাদনৈভূশম”। “যে ব্যক্তি হৃষ্টচিত্তে নৃত্য করে ”—“ দেব দেবীর পূজায় মৃত্য করিলে কন্দ্রলোক প্রাপ্তি হয় ”—** স্বয়ং মৃত্য দ্বারা দেবের পূজা করিলে, সেই দেবের পরলোকে অনুচর হয় ।” রামায়ণে ও শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধে নৃত্যের বিশেষ বিস্তার আছে। মহাভারত বিরাট পর্বে লিখিত আছে অর্জন উত্তম নর্তক ছিলেন এবং তজন্য তিনি বিরাটের অন্তঃপুরে কামিনীগণকে মৃত্য শিক্ষা দিবার নিমিত্ত নিযুক্ত হইয়াছিলেন । স্মৃতিতে নটের অথবা নটীর অন্ন অগ্রাহ্য বলিয়া ব্যবস্থা লিখিয়াছেন যথা—“ রজকশ্চৰ্ম্মকরশ্চ নটো বৰুড় এব চ।” (যম সংহিতা ।) অর্থাৎ রজক, চৰ্ম্মকার, নট ইত্যাদি ৭ প্রকার জাতি অত্যন্ত নিকৃষ্ট । ইহাদের অন্ন ভক্ষণে প্রায়শ্চিত করিতে হয়। এইরূপ মনুসংহিতা প্রভৃতি সৰ্ব্ব সংছিতাতে নট জাতির এবং নাটোপজীবীর উল্লেখ আছে, সুতরাং মৃত্য চর্চ এদেশের অতি পুরাতন । তাল, মান, রস আশ্রয় করিয়া