পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృరి 3 রম হইতে লাগিল । গুণের সীমা রছিল না । রূপে গুণে বালিকা বিমলা সকলের লোচনানন্দদায়িনী ও সন্তোষবিধায়িনী হইয়া উঠিলেন। পরিচিতের মধ্যে র্তাহাকে ভাল বাসিত না এরূপ লোক ছিল না। যে একবার তাহাকে দেখিত সে আবার বার বার তাহাকে দেখিতে চাহিত । যে একবার তাহার কথা শুনিত সে পুনরায় তাহ শুনিবার নিমিত্ত ব্যগ্ৰ থাকিত । বিমলা নারীজাতির ভূষণ স্বরূপ হইয়া উঠিলেন। যোগেশ সদা সৰ্ব্বদা বাটী আসিতেন। বাটী আসিয়া যে কয় দিন থাকিতেন তাহার অৰ্দ্ধাধিক কাল বিমলাদের বাটীতেই অতিবাহিত হইত। বিমলার মাতা লেখা পড়া জানিতেন । তিনি কন্যাকে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ লেখা পড়া শিখাইতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । যোগেশ বাটী আসিয়া বিমলার লেখা পড়া পরীক্ষা করিতেন, মাতার যাহা সন্দেহ থাকিত তাহার নিরাকরণ করিতেন, নুতন পাঠ দিতেন এবং নানাবিষয়ে কথোপকথন করিতেন। ফলতঃ এই রূপে যোগেশ ও বিমলার হৃদয় মধ্যে বিশেষ আত্মীয়তা জন্মিল। সুরবদ্ধ মিলিত বাদ্যযন্ত্র সমূহের দ্যায় তাহদের হৃদয়ের বিশেষ একতা জম্মিল । উভয়ের হৃদয় এক কেন্দ্রাভিমুখে পরিধাবিত হইতে লাগিল। এক উদ্যানের সমভাবাপন্ন যুগল কুসুমের স্তায় উভয়ে বিমল । (জ্ঞানাঙ্কুর মাঃ, ১২৮২ বিশ্বোদ্যান বিশোভিত করিতে লাগিলেন। বিমলা বালিকা—বয়স নয় বৎ সর । যোগেশ বালক—বয়স, ষোড়শ বর্ষ। কি আশ্চৰ্য্য নৈসর্গিক নিয়ম ! প্রণয় কাহাকে বলে তাহা জানা নাই, ভালবাসা কিসে প্রকাশ হয় তাহা বোধ নাই, যৌবনের লীলা কি তাহার জ্ঞান নাই, কোন কাৰ্য্যেই পার্থিব কৃত্রিমত বা বিকার বিমিশ্রিত নাই, তথাপি স্বভাব তাহীদের হৃদয়-নিকেতনে পরম পবিত্র মমতা, স্নেহ, প্রীতি পরিস্থাপিত করিল। তৎপ্রভাবে উভয়ের উভয়কে দর্শনে আনন্দ অদর্শনে বিষাদ। ইছাই পবিত্র প্রকৃত প্রণয়ের কারণ, এই স্বভাবিক বৃত্তি-প্রস্থত, মোহাদি পরিশূন্য প্রণয় চিরস্থায়ী, অপার্থিব সম্পত্তি । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । অবন্তীপুরের জমিদার বরদাকান্ত রায় সমাজ ও দলপতি। জমিদারি মধ্যে র্তাহার দেণদণ্ড প্রতাপ ও অবিসম্বাদিত প্রভুত্ব। রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী নামে এক উচ্চ শ্রেণীর জীব তাহার শ্যালক। এই ব্যক্তি জাতি বিষয়ে ও কুল সম্বন্ধে যাহাই হউক, অন্যান্ত বিষয়ে একটা মহারঞ্জ । আকৃতি চমৎকার, যেন আলকাতরা মাখান রলা কাষ্ঠ বিশেষ । চকু কোটর গত। পাঠশালায় যান নাই সুতরাং উদরে বর্ণমালার প্রথম অক্ষরও প্রবেশ ক