পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৪১

నిషి করিয়া তুলিবে, ভোজ, ফলারে বিস্তর লোক আসিয়া উদর পূরিয়া আহার করিবে, অদ্ভুত সজ্জায় সজ্জিত হইয়। এক ব্যক্তি আসিয়া পুরোহিতের নিদেশ মত বাক্য উচ্চারণ করিবে, বিবিধ বস্ত্র ও সুরঞ্জিত অলঙ্কারে শরীর সমাচ্ছন্ন হুইবে—তাহার নাম বিবাহ । বিমলার বিবাহ বিষয়ে জ্ঞান প্রায় এইরূপ । এ রূপ জ্ঞানহীন বালিকাকে বিবাহ বন্ধনে বদ্ধ করা বিধেয় কি না, তাহার উত্তর সামাজিক নিয়ম নিয়ন্তাগণ বলিতে পারেন । বিমলা জানিতেন, বিবাহ আর যাহা কেন হউক না, তাহা কলহ নয় । যোগেশের সহিত কলহ মনান্তর ব্যতীত যাহা হউক না কেন তাহাই আনন্দ । সুতরাং যোগেশের সহিত বিবাহ হইবে ভাবিয়া বিমলার আনন্দ। যোগেশের আনন্দ তদপেক্ষ কিঞ্চিৎ গাঢ়, অপেক্ষাকৃত সারবান । বিবাহ স্থির হইয়া গেল, সকলে পরমানন্দিত । বরদাকান্ত বিরক্ত হইয়া এত দিন চুপ করিয়া ছিলেন। ভাবিয়াছিলেন র্তাহার বিরক্তিতে ভীত হইয়া রামকুমার বিবাহে অতঃপর অমত করিবেন না । তাছা হইল না দেখিয়া পুনরায় সকোপে আজ্ঞা করিলেন,—“অনতিবিলম্বে রামকৃষ্ণের সহিত বিমলার বিবাহ দিতে হইবে । তাহার অন্যথা হইলে আমি যথাসাধ্য দণ্ড দিব।” রামকুমার গঙ্গণগোবিন্দ প্রভৃতিসকলের সহিত পরা বিমল । (জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ মর্শ করিলেন । সকলে একবাক্যে ইহাতে অসম্মতি জ্ঞাপন করিলেন । রামকুমার বরদাকান্তের প্রস্তাব এককালে উপেক্ষা করিলেন । বরদাকান্ত যৎপরোনাস্তি ক্রুদ্ধ হইয়া কহিলেন, “আমার কথা শুনিলে না, দেখিব কোন্‌ ব্যাট তোমার কন্যাকে বিবাহ করে । বরদাকাস্তের আদেশক্রমে গ্রামে রামকুমার অচলিত, এক ঘরে ও সমাজচ্যুত হইলেন। র্তাহার অপরাধ ? নৃশংসের অনুরোধ পরতন্ত্র হইয়৷ অপত্যস্নেহ বিসর্জন দিয়া কন্যাকে সমুদ্র গৰ্ত্তে নিক্ষেপ করিলেন না, এই তাহার অপরাধ ! একি সহজ পাপ ? ইহারই নাম বঙ্গীয় সমাজ শাসন ! তুমি বঙ্গীয় সংবাদ পত্র সম্পাদক ! একতা, ভ্রাতৃভাব,উন্নতি,সভ্যতা, বিদ্যা ও স্বাধীনতার ধুয়া ধরিয়া চীৎকারে মেদিনী অস্থির করিতেছ,আপনার কণ্ঠও বিদীর্ণ করিতেছ, কল কি হইতেছে ? অরণ্যে রেণদন। কেবল কলিকাতা, ব। তদ্বৎ স্থানে স্বকীয় জ্ঞান সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিও না। পল্লিগ্রামে দৃষ্টি সঞ্চালন কর, তার পর একতা ও স্বাধীনতার ধু তুলিও। - রামকুমারের কন্থার বিবাহ হওয়া অসম্ভব হইয়া উঠিল । গঙ্গাগোবিন্দ গ্রাম মধ্যে অসম্ভ,ান্ত বা সামান্ত ব্যক্তি ছিলেন না। তাছারও প্রভুত্ব ছিল, তাহারও ক্ষমতা ছিল। কিন্তু সে প্রভূত্ব ও সে ক্ষমতা বরদাকান্ত অপেক্ষা