পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV28 টাকা রাখিলে, তুমি খরচ না পাঠাইলেও তাহার আয়ে তোমার সংসার সুচাৰুরূপে চলিতে পারিবে। রামকুমার সম্পূর্ণরূপ নিশ্চিন্ত হইলেন । কাল কাহার বাধ্য নহে । সংসারে আমাদের যত গৰ্ব্ব, যত অহঙ্কার, যত আশা, যত লোভ, সমস্তই আকাশ কুমুমবৎ অলীক ; মানব সংসার-সমুদ্রবক্ষে জল বুদ্বুদ। এই ভাসিতেছে, এই নচিতেছে—এই নাই। রামকুমারের আয়ুষ্কাল পূর্ণ হইল। প্রভুর মৃত্যুর সপ্তাহদ্বয় পরে রামকুমার ওলাউঠা রোগাক্রান্ত হইলেন। তিনি অনেকের প্রিয় ছিলেন । অনেকে ব্যথিত হইয় তাহার রোগোপশমের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিছুই হইল না। তিন দিন পরে রামকুমার স্ত্রী, কস্তা, অর্থালপসা, অর্জনস্পৃহা প্রভৃতি সমস্ত বিসর্জন দিয়া পরলোকে প্রস্থান করিলেন । আসন্নকালে স্ত্রী কস্তার সহিত রামকুমারের শেষ সাক্ষাৎ হুইল না । কয়েক দিন মধ্যে এই নিদাৰুণ সংবাদ র্তাহীদের কর্ণগোচর হইল। সকলে নিরতিশয় শোকাকুলিত হইলেন তাহার সন্দেহ কি ? গঙ্গাগোবিন্দ, যোগেশ ও সরম প্রভৃতি আত্মীয়বর্গ এই ৰিপদের সময় বিবিধ প্রকারে বিমলা ও তাহার জননীর চিত্ত শান্ত ও প্রবোধ বিধান করিতে লাগিলেন। তখন বিমল । (জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ বিমলার বয়স ১২ বৎসর। যোগেশের বয়স অষ্টাদশ বর্ষ। কালে সকলই মন্দভূত হয়। স্বামী পুত্র বিহীন অনাথাও কালে হাসে, আশা ভঙ্গ জনিত ঘোর মনঃক্লেশ সম্বরণ করিয়া কালে নবীনা প্রেমোন্মত্তা কামিনী পুনরায় আমোদে যোগ দেয়। কালে বিমলা ও র্তাহার জননীর শোক কমিয়া আসিতে লাগিল । রামকুমারের উপার্জিত অর্থের আয়ে তাহাদের জীবিকা নির্বাহের ভাবনা ছিল না । গঙ্গাগোবিন্দের যত্বেরও ক্রট ছিল না। বিমলা ও র্তাহার গৰ্ত্তধারিণীর সন্তোষ সাধনই যোগেশের ব্রতম্বরূপ ছিল । ক্রমে বিমলা যৌবনে পদার্পণ করিলেন । যোগেশ রশমনগরের শিক্ষণ সমাপ্ত করিয়া বাট আসিলেন। বাটী আসিয়া পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক সময় বিমলাদের আবাসে অতিবাহিত করিতে লাগিলেন। চির সঞ্চিত প্রণয় দৃঢ় হইতে লাগিল। যৌবনাগমে তাহা বিভিন্ন ভাব ধারণ করিল। যুবক যুবতী বিবাহের কথা একদিনও ভুলেন নাই। বিবাহ কি তাহা তাহার এক্ষণে সম্যকপ্রকারে বুঝিয়াছেন। কেন বিবাহ হইতে পারে না, তাহাও তাহদের অবিদিত নাই। ইংরাজি শিক্ষিত ও উন্নতিশীল হওয়ায় যোগেশের চক্ষে বিবাহ বিষয়ে কোনই প্রতিবন্ধক লক্ষিত হইল না। তিনি কৌশলে, খুল্লতা