পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৪৫

ు বনফুল f ( জ্ঞানাকুর মাঃ, ১২৮২ পথিক চমকি প্রাণে, দেখিল চৌদিক পানে দ্রুত গতি চলিলেন তটিনীর ধারে, কুটীরে ডাকিছে কেও “কমলা ! কমলা নদীর শীতলনীরে, ভিজায়ে বসন ধীরে, অবাক হইয়া রছে, অম্মুটে কেওগো কহে ফিরি আইলেন পুনঃ কুটারের দ্বারে। । সুমধুর স্বরে যেন বালকের গল ! বালিকার মুখে চোকে, শীতল সলিল সেকে পথিক পাইয়। ভয়, চমকি দাড়ীয়ে রয় সুধীরে বালিকা পুনঃ মেলিল নয়ন। কুটীরের চারি ভাগে নাই কোন জন ! মুদিত নলিনী কলি, মরম হুতাশে জ্বলি এখনো অস্ফুটম্বরে,কমলকমল করে মুরছি সলিল কোলে পড়িলে যেমন— কুটার আপনি যেন করে সম্ভাষণ ! সদয় নিশীর মন, ছিম সেঁচি সারণক্ষণ কেজনে কাহাকে ডকে,কেজানেকেনবা ডাকে প্রভাতে ফিরায়ে তারে দেয়গো চেতন । কেমনে বলিব কেবা ডাকিছে কোথায় ? মেলিয়া নয়ন পুটে, বলিক চমকি উঠে সহসা পথিকবর, দেখে দণ্ডে করি ভর একদৃষ্টে পথিকেরে করে নিরীক্ষণ BBBS BBBS BBB BB BBB BBBS BB BB BBB BBBBBBB BBBB BBB আবার পথিকবর, হন ধীরে অগ্রসর বিস্ময়ে পথিকে তাই করিছে লোকন ! সুন্দরি! সুন্দরি বলি ডাকিয় আবার ! আiচল গিয়াছে খসে, অবাক রয়েছে বসে আবার পথিক হায়! উত্তর নাহিক পায়, বিস্ফারি পথিক পানে যুগল নয়ন! | বসিল উৰুর পরে সঁপি দেহ ভার! দেখেছে কভু কেহ কি, এহেন মধুর অণখি ? সঙ্কোচ করিয়া কিছুপস্থির আগুপিছু স্বর্গের কোমল জ্যোতি খেলিছে নয়নে একটু একটু করে হন অগ্রসর! মধুর স্বপনে মাখন, সারল্য প্রতিম অণক। আনমিত করি শিরে, পথিকটি ধীরে ধীরে কে তুমি গে?” জিজ্ঞাসিছে যেন প্রতিক্ষণে বালার নাসার কাছে সঁপিলেন কর! পৃথিবী ছাড়া এ আঁখি,স্বর্গের আড়ালে থাকি হস্ত কঁপে থর থরে, বুক্‌ ধূক ধুক্‌ করে পৃথ্বীরে জিজ্ঞাসে ‘কে তুমি ? কে তুমি পড়িল অবশ বাহু কপোলের পর ; মধুর মোহের ভুল, এ মুখের নাই তুল লোমাঞ্চিত কলেবরে, বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্মঝরে স্বর্গের বাতাস বহে এ মুখটি চুমি! কে জানে পথিক কেন টানি লয় কর । পথিকের হৃদে আসি, নাচিছে শোণিত রাশি আবার কেন কি জানি, বালিকার হস্তখনি অবাকৃ হইয়া বসি রয়েছে সেথায় ! লইলেন আপনার করতল পরি— .চমকি ক্ষণেক পরে, কহিল সুধীর স্বরে, তবুও বালিকা হায়! চেতন নাহিক পায়- বিমোহিত পান্থবর কমলা-বালায়! অচেতনে শোক জ্বালা রয়েছে পাশরি! “সুন্দরী,আমিগোপীন্থ, দিকভ্রান্ত,পথশ্রাস্ত কক্ষ ৰুক্ষ কেশ রাশি, বুকের উপরে আসি উপস্থিত হইয়াছি বিজন কাননে! থেকে থেকে কঁপি উঠে নিশ্বাসের ভরে কাল হ’তে ঘুরি যুরি, শেষে এ কুটীর পূরী বাহাত অচল পরে, অবশ রয়েছে পড়ে আজিকার নিশি শেষে পড়িল নয়নে! এলে কেশ রাশি মাঝে সঁপি ডান করে বালিকা! কি কব আর, আশ্রয় তোমার দ্বার ছাড়ি বালিকার কর, ত্রস্ত উঠে পান্থবর পান্থ পথ ছারা অামি করিগে। প্রার্থন।