পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उळांमfङ्कञ्च भt६, s२४-२) ব্যক্ত করেন। ভূমণ্ডলে যখন যে কোন পণ্ডিত যে কোন নুতন বিষয় আবিষ্কার করিয়াছেন, তখনই তিনি জন সমাজে যৎপরোনাস্তি লাঞ্ছিত হুইয়াছেন। হানিমানও চিকিৎসা সম্বন্ধে নুতন মত প্রকাশ করিয়া অশেষ বিথ কষ্ট ভোগ করিয়াছিলেন । সত্যের প্রকৃত তথ্য হৃদয় কাননে নিবিষ্ট হইলে কাহার সাধ্য তাহ উৎপাটিত করে? কষ্টে বা যাতনায় হৃদয়ের প্রকৃত ভাবের কখন অন্যথা হয় না । কিছুতেই ডাক্তর হানিমানের মতের অন্ত্যথা হইল না । বরং নিরন্তর গবেষণা হেতু তৎসম্বন্ধে আরও নুতন যুক্তি ও প্রমাণ সংগৃহীত হইতে লাগিল। “ কণ্টোরিয়া কণ্টেশরাইস্ কিউর্যান্টর,” অর্থাৎ “বিপরীতে বিপরীত উপশমিত হয় ,” এই চির প্রচলিত মতের বিৰুদ্ধে ছানিমান বিশেষ পরীক্ষণ দ্বারা স্থির সিদ্ধান্ত করিয়া “সিমিলিয়া সিমিলিবস কিউর্যান্টর, অর্থাৎ “সমানে সমান উপশমিত হয়,” এই নুতন মত ব্যক্ত করিয়াছিলেন । এ মতে চিকিৎসা প্রচলিত ছিল না বটে কিন্তু ভূতলে বহুকাল পূৰ্ব্বেও এরূপ মত ছিল । অতি প্রাচীন ছিপক্রিটসের গ্রন্থে এবম্বিধ মত ব্যক্ত আছে, এবং : “শ্রয়তে ছি পুরালোকে বিষস্য বিষমৌষধমূ।” এ কথা যে দেশে প্রচলিত, সে প্রাগু গ্রন্থাদির সংক্ষিপ্ত সমালোচন । Ꮌ8Ꮌ দেশের অধিবাসীবগ্ন কোন না কোন কালে হোমিওপেথি জানিতেন সন্দেহ নাই । মহাত্মা সামুয়েল হানিমান ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন বটে কিন্তু তাছার প্রদর্শিত চিকিৎসা প্রণালী বিজ্ঞানজ্ঞগণের হৃদয়ে স্বর্ণক্ষরে লিখিতবৎ জাজ্বল্য রহিয়াছে। অলপ সময়ে ও ঘোর প্রতিদ্বন্দিতা ভেদ করিয়া হোমিওপেথিক যেরূপ উন্নতি ও প্রাধান্য লাভ করিতেছে, তাহাতে বিলক্ষণ প্রভাতি জন্মে যে, ভবিষ্যতে হোমিওপেথিক পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র চিকিৎসা হইয়া উঠিবে। সৰ্ব্বাপেক্ষণ আমেরিক খণ্ডেই হোমিওপেথির প্রতি জনসাধারণের সমধিক আস্থা পরিদৃষ্টহয়। বিজ্ঞানোন্নতি সম্বন্ধে ভারতবর্ষের অতি হীনাবস্থা। কিন্তু অদ্যান্থ্য বিষয়াপেক্ষা হোমিওপেথির প্রতি ভারত বাসীগণের অধিক যত্ন দেখা যাইতেছে । বঙ্গীয় চিকিৎসক প্রধান ডাক্তর শ্রীমহেন্দ্র লাল সরকার মহোদয় “ বিপুল বিভব-প্রদ এলোপেথি " চিকিৎসায় সুশিক্ষিত হইয়াও “সত্যের অনুরোধে” তাহাত্যাগ করিয়া ছোমিওপেথির আশ্রয় গ্রহণ করত “মহুত্বের পরাকাষ্ঠা"প্রদর্শন করিয়াছেন । মেডিকেল কলেজের আরও অনেক সুশিক্ষিত ছাত্র এলোপেথি ত্যাগ করিয়া হোমিওপেথি অবলম্বন করিয়াছেন। ক্রযুক্ত বাবু বস্টঃ কুমার দত্ত ম