পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫৬

জ্ঞান কুর ফাঃ, ১২ ৮২) পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্র । পাতঞ্চলের যোগশাস্ত্র । 弯 (পূৰ্ব্বপ্রকাশিতের পর) শেষোক্তরূপ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট সমাধি | আয়ত্ত করিতে হইলে, তজ্জন্য ক্রমাস্বয়ে এই কয়েকটি উপকরণের আবশ্যক । যথা—“শ্রদ্ধা-বীৰ্য্য-স্মৃতি-সমাধি প্রজ্ঞ} পূর্বক ইউরোম্। ইতরোং অর্থাৎ | বিদেহ-প্রকৃতি-লয়-ব্যতিরিক্তানাং ষো- | গিনাং । বিদেহ এবং প্রকৃতি-লয়-ব্যতিরিক্ত যোগিদিগের; অর্থাৎ পরম কারণ যে প্রকৃতি, তাহার ও উপরের তত্ত্ব যে জ্ঞান-স্বরূপ আত্মা, তাহাতে ক্লতসমাধি যোগিদিগের, শ্রদ্ধা, বীৰ্য্য, স্মৃতি, সমাধি এবং প্রজ্ঞ এই পাচটি উপকরণ ক্রমান্বয়ে অবশ্যক । “তত্র শ্রদ্ধা যোগবিষয়ে চেতসঃ প্রসাদঃ । শ্রদ্ধা কি ?—না, যোগ বিষয়ে চিত্তের প্রসন্নতা। 'শ্রদ্ধালতো বীৰ্য্যং জয়তে’–শ্রদ্ধা হইলেই বীর্য্য, কিনা উৎসাহ জন্মায় । * সেঃসাহস্যচ পাশ্চাত্যাসু ভূমিযু স্মৃতিৰুপজায়তে।”—উৎসাহ হইলেই পূৰ্ব্বাভ্যস্ত সমাধির ভাব্য-বিষয় সকল স্মরণ-গোচর হয় । ‘তৎস্মরণাৎ csਣ:" সমগধীয়তে ।” সে সকলের স্মরণ মাত্রে চিত্ত সমাহিত হয়।—‘সমাহিতচিত্তশ্চ ভাব্যং সম্যক বিজানাতি'।—এবং চিত্ত সমাহিত হইলেই ভাব্যবিষয় সম্যকরূপে জ্ঞাম-গোচর হইয়া থাকে। এইরূপ প্রথমে শ্রদ্ধা,পরে উৎসাহ,পরে স্মৃতি, 'ను পরে সমাধি, অবশেষে প্রজ্ঞা অর্থাৎ সংশয় রহিত প্রক্লষ্ট জ্ঞান, এই কয়টি পর পর উদিত হইয়া সম্প্রজ্ঞাত-সমাধির চরম সাফল্য সম্পাদন করে । “ইদানীং এতদুপায়বিলক্ষণং সুগমমুপায়ান্তর মাহু” –এক্ষণে উল্লিখিত শ্রদ্ধাদি উপায় সকল হইতে ভিন্ন, স্বতন্ত্র আর একটি উপায় কহ। যাইতেছে,– “ঈশ্বরপ্রণিধানাদ্ধা ।” সে উপায় কি ?—না,ঈশ্বরপ্রণিধান “ঈশ্বরপ্রণিধানং তত্ৰ ভক্তিবিশেষঃ,বিশিষ্টমুপাসনং, সর্বক্রিয়াণামপি তত্ৰাপণং।’ ঈশ্বর-প্রণিধান কি ? না, ঈশ্বরেতে ভক্তিবিশেষ, বিশিষ্টরূপে ঈশ্বরের উপাসনা এবং সমস্ত ক্রিয়া ঈশ্বরকে সমৰ্পণ করা । “বিষয়মুখাদিকং ফলমনিচ্ছন্‌ সৰ্ব্বাঃ ক্রিয়া স্তম্মিন্‌ পরমগুরোঁ অপয়তীতি । ” ঈশ্বরেতে সমস্ত ক্রিয়া সমর্পণ,—এ কথার অর্থ এই যে সাধক, বিষয়-মুখাদি ফল ইচ্ছা না করিয়া সকল কৰ্ম্ম সেই পরম গুৰু | ঈশ্বরেতে সমর্পণ করেন । “তৎ প্রণিধানং ” এইরূপ আচরণকেই প্রণিধান কহে । “সমগধেস্তৎফললাভস্যাচ প্রক্লষ্ট উপায়ঃ । এই রূপ ঈশ্বর প্রণিধান সমাধির এবং অস্থার ফল-লাভের প্রকৃষ্ট উপায় । “তত্র মিরতিশয়ং সৰ্ব্বজ্ঞ ।