পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬১

to বীজেন অলিম্বনেন বৰ্ত্ততে ইতি সবীজঃ সম্প্রজ্ঞাতঃ সমাধি ৰুচ্যতে । " বীজের সহিত, কি না বিষয় বিশেষের অবলম্বনের সহিত, বৰ্ত্তমান বলিয়া উক্ত সমাপত্তি চতুষ্টয় সবীজ বা সম্প্রজ্ঞাত সমাধি বলিয়। উক্ত হয় । “নিবিচার বৈশারদ্যে২ধ্যাত্ম প্রসাদঃ ৷ ” নির্বিচার সমাপত্তিতে পারদশিতা জন্মিলে অধ্যাত্মিক প্রসন্নতা হয় । আধ্যাত্মিক প্রসন্নত হইলে তাহার ফল কি হয় ? না, “খতত্তর তত্র প্রজ্ঞা’ তথম প্রজ্ঞ ঋতম্ভরা হয় কি না সত্যগৰ্ত্ত হয় । ‘ঋতং সত্যং বিভৰ্ত্তি, কদাচিদপিন বিপর্যয়েণ আচ্ছাদ্যতে স৷ ঋতত্তর প্রজ্ঞা । ” ঋতকে কি ন স ভকে , যে স্বীয় অভ্য স্তরে ধারণ করে, সতকে যে কোন কালেই সংসার দ্বারা আচ্ছন্ন হইতে দেয় না,তাহাকেই ঋতম্ভরা প্রজ্ঞা কহে । “ভজ্জ সংস্কারোইন্য সংস্কার প্রতিবন্ধী” । প্রজ্ঞাজনিত যে সংস্কার ভা ছা অন্য সকল সংস্কারের প্রতিবন্ধক । বহিৰুদ্যম জনিত, কি না, বিষয় ব্যাপার-জনিত সংস্কারই হউক, আর পূর্বকৃত সমাধি-জনিত সংস্কারই হউক, প্রজ্ঞা জনিত সংস্কার, তাহাদিগেরসকলকেই দূর করিয়া দিয়া স্বয়ং একাধিপত্য করে । যখন শেষোক্ত রূপ সবীজ বা সম্প্রজ্ঞাত সমাধিকেও নিরোধ করা হয়, उंश्वन সমুদায় বৃত্তির পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্ৰ | ( জ্ঞানীকুর ফাঃ, ১২৮২ নিরোধ হওয়াতে নিৰ্লজ সমাধি উদ্ভূত হয় । “সৰ্ব্বাসাং চিত্তবৃত্তীন স্বকারণে প্রবিলয়াৎ যা যা সংস্কার . মাত্রাবৃত্তি ৰুদেfত তস্যাং নেতি নেতি কেবলং পর্যাদাসনাৎ নির্বাজ সমাধি রাবির্ভবতি । ’ সমস্ত চিত্তবৃত্তি কার্য্য হুইতে বিরত হইয়া কারণে বিলীন ছওরাতে, সংস্কার-মাত্র রূপ যে যে বৃত্তি উদিত হয় সেই সেই বৃত্তি “ইহা নছে, ইছা নহে ’ বলিয়া পরিত্যক্ত হইলে নিবাজ সমাধি আবিভূত হয় । “যস্মিন সতি পুৰুষঃ স্বরূপনিষ্ঠঃ শুদ্ধঃ কেবলে মুক্ত ইতু্যচ্যতে। ” নিবীজ সমধি আবিভূত হইলে আত্মা স্বরূপস্থ, শুদ্ধ, কেবলমুক্ত, এই রূপ শব্দ সকলের বাচ্য হন । এতক্ষণ যাহা বলা হুইল, তাহাতে সামান্যতঃ যোগ-বিষয়ের পরিচয় লাভ হইতে পারে । এক্ষণে পূর্বপর সেই সমুদায়ের স্থল মৰ্ম্ম অতি ংক্ষেপে ব্যক্ত করা যাইতেছে যথা—প্রথমতঃ, অভ্যাস এবং বৈরাগ্য দ্বারা চিত্তবৃত্তি সকলের নিরোধ পূর্বক আত্মাতে স্থির করাকেই যোগ কহে । দ্বিতীয়তঃ, চিত্তবৃত্তি সকলকে একেবারেই নিরোধ করা মুকঠিন বলিয়া, প্রথমে চিও বৃত্তিকে একটা কোন বিষয়ে স্থির রাখিতে অভ্যাস করা অবশ্যক । এই রূপ একটা বিষয়ে চিত্তকে তন্নিষ্ঠ এবং তন্মুয়-ভাবে পরিণত করাকেই