পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর ফtঃ, ১২৮২) সমাধি কহে । সমাধির ভূমি কি কি ? অর্থাৎ কোন্‌ কোন বিষয়ে সমাধি করিবে? না, পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব এবং ঈশ্বর। আত্মা-রূপ চরম ভূমিতে সমাধি করিতে হইলে তাহার প্রকৃষ্ট উপায় ঈশ্বরপ্রণিধান । কোন প্রকার চিত্ত-বিক্ষেপ থাকিতে সমাধি আয়ত্ত হইতে পারে* না, এ জন্য চিত্ত বিক্ষেপ নিবারণার্থে উপায় করা অতীব কৰ্ত্তব্য। চিত্ত যখন বিক্ষেপ শূন্য হয়, তখন কি স্থল বিষয়, কি স্থ ক্ষম বিষয়, যাহাতে যখন মনঃ-সমাধান করা যায়, তাহাতেই মন নিমগ্ন হুইয়া তন্নিষ্ঠ ও তন্ময় ভাবে পরিণত হয় । যে সমাধিতে ভাব্যবিষ য়ের অবলম্বন অবশ্যক হয়, তাহাকে সম্প্রজ্ঞাত বা সবীজ সমাধি কহে । স্থূল ভূত হইতে আরম্ভ করিয়া মূল পরিধেয় বস্ত্র Ꮌ } Ꮌ প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত স্থক্ষম তত্ত্বে উত্তরোত্তর ক্রমে মনঃ-সমাধান করত সেই সেই তত্ত্বে মনকে তন্নিষ্ট এবং তন্ময় ভাবে পরিণত করাই সম্প্রজ্ঞাত সমাধির উদেশ্য। সম্প্রজ্ঞাত সমাধির চরম ভূমিতে সত্যগৰ্ত্ত প্রজ্ঞার স্ফৰ্ত্তি হয় । সম্প্রজ্ঞাত সমাধি বা সবীজ সমাধি যোগের সোপান মাত্র, অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি এবং নিবীজ সমাধিই প্রকৃত যোগ | যখন সমস্ত ভাব্য বিষয়ের অবলম্বন পরিত্যাগ পূর্বক বিষয়াতীত পুৰুষে গিয়া সমাধি পর্যবসিত হয়, তখন মনোবৃত্তি সকলের নিরোধ হইয়া যায়, চেতন স্বরূপ আত্মা তখনই আপনাতে স্বাধীনভাবে স্থিতি করেন । ইহাই যোগ । - ( ক্রমশঃ । ) পরিধেয় বস্ত্র । ,आीशृ{६ब्लू नड مهني বস্ত্র পরিধান করিবার প্রথা অতি প্রাচীনকাল হইতে প্রচলিত হইয়া আমিতেছে এবং সুসভ্য জাতিমাত্রেই এই প্রথার অনুসরণ করিয়া থাকেন। কিন্তু যদিও বস্ত্র অধুনা সভ্যতার এক প্রধান অঙ্গ বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে তথাপি সুপ্রসিদ্ধ কবি মিল টনের মতানুসারে উহা আমাদের প্রকৃত গৌরবের বিষয় নহে, বরং আমাদের এম্‌ এ প্রণীত । লজ্জার বিষয় বলিতে হইবে । তিনি বলেন, আমাদের বস্ত্র পরিধান করাতে যে সম্মান হয় তাহা যথার্থই অপমান ; কারণ উহা নিয়তই আমাদের আদিপুৰুষ গণের দোষের বিষয় স্মরণ করাইয়া দেয়। সম্পূর্ণ নির্দোষ থাকিতে পারিলে, তাহার। কখনই লজ্জিত হইয়। পরম্পর হইতে শরীরের অংশবিশেষকে আচ্ছাদন করিতে বাধ্য হইতেন না ।