পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うむR এরূপ যুক্তি মিল্টনের ন্যায় কবির মুখেই শোভা পাইয়া থাকে। এই ৷ উনবিংশ শতাব্দিতে কেছ এরূপ যুক্তি প্রদর্শন করিলে তাহা সাধারণের নিকট কিরূপে পরিগৃহীত হইবেপাঠকবর্গ ইহা অনায়াসেই অনুমান করিতে পারেন। সাধুবাদের কথা দূরে থাকুক, তিনি যে সকলের নিকট উপছাসাম্পদ হইবেন, ইহা বলা বাহুল্য । বস্তুতঃ উপরোক্ত মতটি যে নিতান্ত যুক্তিবিৰুদ্ধ একটু । অনুশীলন করিয়া দেখিলেই ইহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে । কেবল লজ্জা । নিবণরণের জন্য হইলে কখন বস্ত্রের মৃষ্টি হইতে কি না নিতান্ত সন্দেহ স্থল । এবং শুদ্ধ লজ্জার ভয়ে যে ইংরেজের সদা সৰ্ব্বদা প্রায় এক মণ ভণর বহন করিলেন, এরূপ কখনই সম্ভব বোধ হয় না । লজ্জা নিবারিত না হইলে কষ্ট বোধ হয় বটে, কিন্তু ক্ষুধা তৃষ্ণার পরিতৃপ্তি না হইলে যেরূপ কষ্ট হয় ইহা সেরূপ কষ্ট নহে । এই কষ্ট একমাত্র কৃত্রিম আচার ব্যবহারের উপরই নির্ভর করে ; ইছা কিছু স্বাভাবিক কিংবা সাধারণ নছে । এক জাতি যাহাতে লজ্জা বোধ করেন অন্য জাতি তাঁহাতে কোন সংকোচমনে করেন না । উলঙ্গ থাকা সুসভ্যজাতির পক্ষে অত্যন্ত লজ্জার বিষয় কিন্তু কুকী প্রভৃতি অসভ্যজাতির মধ্যে উহা ভদ্রপ নছে। সুতরাং লজ্জা কখ পরিধেয় বস্ত্র | (জ্ঞানাকুর ফাঃ, ১২৮২ নই স্বাভাবিক হইতে পারে মা । স্বাভাবিক হইলে ইহা সকল জাতির পক্ষেই সমান হইত । আবার, আমরা এক অবস্থায় থাকিলে যাহাকে লজ্জা বোধ করি অন্য অবস্থায় থাকিলে তাহাকে সম্পূর্ণ নির্দোষ মনে করি । বড় হইলে কেহই উলঙ্গ থাকিতে পারেন না, কিন্তু ছোট কালে কেহ তাহাতে কোন লজ্জ অনুভব করেন না । অতএব লজ্জা কৃত্রিম ইহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । যাহা স্বাভাবিক তাহা সকল সময়েই সমান থাকে। ছোট কালেও যেরূপ ক্ষুধা তৃষ্ণা থাকে, বড় হুইলেও তাছাই থাকে। এক্ষণে একটি কৃত্রিম বিষয় উদ্ভাবন করিয়া মনুষ্য যে তাহার নিমিত্ত এত কষ্ট সহ্য করিবে ইহা কখনই সম্ভব বোধ হয় না। কাপড় নিতান্ত লঘু নছে এবং উহাকে বহুল পরিমাণে বহন করাও নিতান্ত সহজ নছে । ফলতঃ, যেরূপ স্মরণাতীত কাল হইতে বস্ত্র পরিধান করিবার প্রথা প্রচলিত হইয়া আসিতেছে, তাহতে কেবল মাত্র লজ্জাই যে তাহার কারণ, ইহা কখনই সম্ভব হইতে পারে না । আমাদের মতে লজ্জা নিবারণ ব্যতীত বস্ত্র পরিধানের আরও গুৰুতর বিজ্ঞান সম্মত কারণ আছে; এবং তাহ বোধ হয় সকলেই স্বীকার করিবেন। সেই কারণ এই—যথা ; শরীরকে উষ্ণ