পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tSe কোথাও দেখা যায় না । দুই এক ফুলবাবু, যাহারা এবিষয়ে কিঞ্চিৎ মনোযোগ দেন, তাহারাও বস্ত্রের ঔৎকর্যের বিষয় চিন্তাকরিয়া দেখেন না; সৌন্দৰ্য্য ও বাহারুভি দ্বারাই মোহিত হইয়া যান। এদেশে দাৰুণ শীতের সময়ও শিশুদিগকে যে প্রকার স্থ ক্ষম, জীর্ণ ও মলিন বস্ত্র ব্যবহার করিতে দেয়, তাহ! দশন করিলে কাহার হৃদয় দ্রব হয় না ? বস্ত্রের বিষয়ে এরূপ শিথিল: মুরাগ হ ও রণতে এদেশের যে কত হানি হইতেছে তাহা বলা যায় না । শীতপ্রভাবে ইন্দ্রিয়সমূহ স্তম্ভিত হওয়াতে কত শত সন্তান যে শৈশবাবস্থায় কালগ্রাসে পতিত হইতেছে ভহার সংখ্যা কে নিরূপণ করিবে ? মৃত ব্যক্তিগণের তালিকা দর্শন করিলে শিশুদের সং খ্যাই অধিক দৃষ্ট হয়। আজকাল অনেককেই ব্যায়াম শিক্ষার সুবিধা সম্পদনার্থ ব্যগ্র দৃষ্ট হয়। কিন্তু অধিকাংশ সন্তানই যদি উপযোগী পরিধেয় অভাবে শৈশবাবস্থায় কালগ্রাসে পতিত হয়, অথবা নিতান্ত ৰুগ্ন ও খর্ব হইরা যায়, তাহা হইলে ব্যায়ামে কি করিবে ? অতএব আমাদের সর্বাগ্রে সন্তানগণের পোষাকের প্রতি মনোযোগ করণ কর্তব্য । যতদিন আমরা আমাদের সন্তানগণকে উত্তম পরিধান দ্বারা শীতাতপ হইতে রক্ষণ করিতে না পারি, তত দিন আমাদের কোন প্রকার পরিধেয় বস্ত্র । {জ্ঞানাকুর ফাঃ, ১২৮২ উন্নতির আশা করা বিড়ম্বন মাত্র । বিবেচনা করিয়! দেখিলে বুঝা যায়, আমাদের দেশে পরিমিতাচারিত দ্বারা যত অনিষ্ট হইতেছে, অন্য কোন মতের দ্বারাই ওরূপ অনিষ্ট হইতেছে না । পরিমিতাচারী হওয়া মন্দ আমরা একথা বলিতেছি না, কিন্তু পরিমিতাচারের সীমা নিরূপণ করা অতিশয় মুকঠিন । পরিমিতাচারের নামে অনেককেই সংযতেন্দ্রিয় হইতে দেখা যায়। পরিমিত আহার করিবেন এই সংকণপ করিয়া অনেককেই প্রয়োজনপেক্ষাও অগপ আহার করিতে দেখা যায়। পরিমিতাচারী হওয়া যেরূপ প্রশংসনীয়, সংযতেন্দ্রিয় হওয়া সেরূপ দোষণীয়। এই পরিমিতাচারের নামে আহারের ন্যায় অনেককেই প্রয়োজনাপেক্ষ অপ বস্ত্র পরিধান করিতে দেখা যায়। অধিক শৈত্যামুভব হইলেও কেহ তাছার প্রতি মনোযোগ করেন না, এবং অধিকাংশকেই এরূপে র্তাহীদের অনুভব শক্তিকে অবিশ্বাস করিতে দেখাযায় । তাহারা বলেন উছ আমাদিগকে সত্য পথে লইয়া না গিয়া কুপথে লইয়া যায় ; উহাকে বিশ্বাস করিলে আমাদিগকে অনর্থক অতিরিক্ত কাপড়ের ভার বছন করিতে হয়। কিন্তু এই সংস্কার যে কতদূর ভ্রান্তিমূলক তাছা বলা যায় না।