পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর ফাঃ, ১২ ৮২) আমাদের অনুভব শক্তি দ্বারা আমরা কখন বিপথে নীত হই না । আমরা উছার উত্তেজনাকে অবজ্ঞা করিলেই বিপথে নীত হইয়া থাকি। ক্ষুধার সময় অহার করিলে, কিংবা তৃষ্ণণর সমর পান করিলে কোন দোষ হয় না । কিন্তু ক্ষুধা কিংবা তৃষ্ণার অসদ্ভাবে, আহার কিংবা পান করিলেই অনেক প্রকার কষ্ট পাইতে হয়। অতএব আমাদের সকলেরই অনুভব শক্তির উপর নির্ভর করা কৰ্ত্তব্য এবং শৈত্যানুভব হইলেই বস্ত্র পরিধান করা ও গ্রীষ্মানুভব হইলেই বস্ত্রপরিত্যাগ করা উচিত। যে প্রকার বস্ত্র ব্যবহার করিলে শৈত্যানুভব হয় না, ঐ মানুভব ছয় না, আমাদের এইরূপ বস্ত্রই পরিধান করা কৰ্ত্তব্য । আবার অনেকে সহিষ্ণুতার দোহাই দিয়া সন্তানদিগকে অত্যন্ত অণপ বস্ত্র পরিধান করিতে দিয়া থাকেন। শীতাতপ সহ করাইয়া সহিষ্ণু করা কি পর্যন্তু অনিষ্টকর ইহা পূর্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে। কৃষকের সন্তানেরা অৰ্দ্ধেক উলঙ্গ থাকিয়াও ষে বলবান হয়, তাহার কারণ সম্পূর্ণ বিভিন্ন। তাছার নিয়তই মাঠে বিচরণ করিয়া বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করে ; তাহদের সমস্ত জীবন ক্রীডীয় যাপিত হয় ; এবং তাছাদের মস্তিদ্ধ কোন মানসিক শ্রমের দ্বারা আলো পরিধেয় বস্ত্র । >6 q ড়িত হয় না । কৃষকের সন্থানের উলঙ্গ থাকিয়া ও বলবান হয় বলিয়। ভদ্রলোকের সন্তানেরাও তাহাই হইবে, এরূপ অনুমান করা নিতান্ত অসঙ্গত । আমাদের দেশে বৃদ্ধের যে পরিমাণ বস্ত্রব্যবহার করেন, সন্তানগণকে ভtহার চতুর্থাংশও ব্যবহার করিতে দেন না । কিন্তু বাস্তবিক বিবেচনা করিয়া দেখিতে গেলে সন্তানগণেরই অধিক উষ্ণ বস্ত্র ব্যবহার করা কৰ্ত্তব্য। পূর্বে খাদ্য দ্রব্যের ও অম্লজশনের যে সংযোগের বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে সেই সংযোগ হইতে অঙ্গাৰ্য্যাক্স নামক এক প্রকার বিষাক্ত বায়ু উদ্ভূত হইয়া থাকে, এবং এই বায়ু আমাদের শরীর হুইতে নিশ্বাসের দ্বার বাহির হইয় যায়। এই অঙ্গাৰ্য্যাক্স প্রস্তুত হইবার সময় তাপ উৎপন্ন হয় এবং সেই তাপের উপর জীব শরীরের ভাপ নির্ভর করে। পরীক্ষা দ্বারা দেখা গিয়াছে, নিশ্বাসের দ্বারা যৌবনাবস্থায় যে পরিমাণে অঙ্গাৰ্য্যাক্স বিনিগত হয়, শৈশীবাবস্থায় তাহার দ্বিগুণ বহির্গত হইয়া থাকে। অতএব যৌবনবস্থা অপেক্ষা শৈশবাবস্থায় দ্বিগুণ তাপ জনিত হয় ইহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । এরূপে জনিত তাপ শরীরেই থাকা উচিত । উছ বিকীর্ণ হইতে দেওয়া উচিত নছে। সুতরাং বৃদ্ধের অপেক্ষ শিশুর যে