পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jo ভাল বোধ নাই ইহাই বুঝাইবে, এমন নহে । তালকানা বলিলে কিছুতেই তাহার ভাল বিষয় বুদ্ধি নাই, ইহাই বুঝিতে হয় । কোন ব্যক্তির গণপ শুনিয়া শ্রোতৃবর্গ পুলকিত হইতে ছেন, এমন সময় হঠাৎ কেহ অন্য একটী কথা কহিয়৷ আমোদ ভঙ্গ করিলে, লোকে তাহাকে অমৃ-মুরে বা বে-সুরে বলিয়া থাকে। একথা কেন বলে ? তাহার কি সঙ্গীতে সুরবোধ নাই, এই জম্য তাছাকে এই কথা বলা হইল ! তাছা নহে। . যাহার দ্বারা কোন বিষয়ের সৌন্দর্ঘ্য ভঙ্গ হয়, তাহাকেই লোকে বে-সুরে বা তালকানা কহিয়া থাকে যে ব্যক্তির এরূপ নিকৃষ্ট ৰুচি, যাহার দ্বারা সেন্দির্যের হানি হুইয়া থাকে, সে যে মনুষ্য মধ্যে নিতান্ত অসার ও অপদার্থ তদ্বিষয়ে সংশয় নাই । সেই জন্যই এরূপ লোককে সাধারণে দৈত্য, দানব বলিয়া সম্বোধন করে। এই কারণেই অমুর শব্দে দৈত্য, দানব ইত্যাদি বুঝায় । দৈত্য বলিলেই যে অসার অপদাৰ্থ এক নিকৃষ্ট ও ভয়ানক জীব বুঝায়, মুরনা থাকাই তাহার প্রধান কারণ । নারদ,—প্রচলিত অর্থ “ব্রহ্মার পুত্র দেবর্ষি বিশেষ।” আমার সংকলিত অর্থ “যাহার রদ অর্থাৎ দন্ত নাই।” বৃদ্ধ হইলেই দাঁত পড়িয়া যায়, এ কথা সকলেই স্বীকার করিবেন । প্রলঙ্গপসাগর । জ্ঞানীকুর কাঃ, ১২৮২ জরাগ্রস্ত হইবার পূৰ্ব্বে অর্থাৎ বয়স থাকিতে কি কাহারো দাত পড়ে না ? পড়ে বটে, কিন্তু সে কোন উৎকট পীড়া জন্ত । বৃদ্ধ হইলে সকল ইন্দ্রিয়ই দুৰ্ব্বল হয়, চলৎশক্তির হ্রাস হয়, কোন স্থানে যাইতে হইলে বাহনের নিতান্ত প্রয়োজন হয়, আর লোক জন উপস্থিত হইলে বকামীর স্রোত বহিতে থাকে। বৃদ্ধ হইলেই বাচাল ও বহুভাষী হয় ; বহুভাষীর সকল কথাই যে সত্য হয়, তাহা নহে ; যে বক্তি অনেক কথা কহুে, তাহার কথার মধ্যে দুই একটা মিথ্যা কথা থাকেই থাকে, তাহার কোন সন্দেহ নাই । নারদ মুণি চিরকালই বৃদ্ধ, চিরকালই তাহার নাম শুনিতেছি । সত্য যুগেও নারদের নাম শুনিয়ছি, ত্রেতাযুগেও র্তার অনেক সংবাদ পাইয়াছি, দ্বাপরেও তিনি অনেক বার দেখা দিয়ণছেন । তিনি জন্মণবধিই বৃদ্ধ। একথা অনেকেই অসম্ভব মনে করিতে পারেন, কিন্তু তিনি ব্রহ্মার মানস পুত্ৰ—ষষ্ঠি পূজা ও অন্ন প্রাসনাদির সুখসম্ভোগ র্তাহার ভাগ্যে ঘটে নাই, ইহা বিলক্ষণ বোধগম্য হইতেছে। তবে এখন এই প্রশ্ন হইতে পারে ষে, নারদ শব্দে যদি রদ বিহীন, বৃদ্ধ, বাচাল ও বহুভাষী হইল, তবে আর ব্রহ্মার পুত্র দেবর্ষিকে বুঝায় কেন ? পঙ্কজ শব্দে, যে পঙ্কে জন্মে, এই মাত্র হইলে শুদ্ধ