পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান সুর কাঃ, ১২ ৮২) পদ্মকে বুঝায় কেন ? সেই জন্যই নারদ বলিলে সেই দেবর্ষিকেই বুঝায়, অন্য কাহাকে বুঝাইবে না । ইন্দ্রজাল ;–ভোজ বাজী । অণমার কৃত ব্যাখ্যা এই ;—ইন্দ্র দেবরাজ, আর জাল শব্দে মৎস্যাদি ধরিবার চির প্রসিদ্ধ সুত্র যন্ত্র বিশেষ । অনেকেই দেখিয়া থাকিবেন, যে, বারোইয়ারি পূজা, অথবা রাস যাত্রা ও রথ যাত্রার মহোৎসব সময়ে পথ মধ্যস্থলে এক খানি জাল টাঙ্গানো হইয়া থাকে। তাহাতে সোলার মাছ, কচ্ছপ, কুম্ভীর, পদ্ম ফুল, প্রভৃতি বিবিধ খেলনা বুলিতে থাকে। সেই জালের নাম ইন্দ্রজাল । ইন্দ্রজাল শব্দের অর্থ যে ভোজ বিদ্যা, ইহাই তাহার এক প্রকৃষ্ট প্রমাণ । ভোজ বিদ্যার প্রভাব ভিন্ন, মৎস্য, কচ্ছপ, কুত্তীর এত অম্প আয়তন স্থানের মধ্যে থাকিবার সম্ভাবনা নাই । দেবতার জাল বলিয়া দৈবশক্তি প্রভাবে এই সকল ঘটনা ঘটিয়া থাকে । জাল শব্দে মৎস্যাদি ধরিবার জাল অর্থ না করিয়া যদি কপটতা ও জুয়াচুরি করা যায় তাহা হইলে ইন্দ্র জগল শব্দে ভোজবাজী প্রতিপন্ন হইতে পারে । জাল নোট, জালদলিল ইত্যাদি সকলেই শুনিয়াছেন । জাল ধরা বড় কঠিন । এত রাজ শাসন, এমন দণ্ডবিধির আইন, তথাপি সৰ্ব্বদা জাল হইতেছে। সকল জাল প্রলণপসাগর । i i

| f | i | t i f ;

్ప 9)

কারীই কি ধরা পড়িতেছে ; কখনই না । সুক্ষম বুদ্ধি বিচারকের চক্ষে ধূলি দিয়া কত জল কারী পরিত্রাণ পাইতেছে । ভোজ বাজী মিথ্যা বলিয়া জানিয়া ও ধরা কঠিন । নোট ও দলিল মিথ্যা জানিয়াও ধরা কঠিন । মানুষের কত জাল যখন মানুষে ধরিতে অশক্ত, তখন ইন্দ্রের জাল ধরে সাধ্য কণর ! ভূগোল বিদ্যা –প্রচলিত অর্থ, “যে বিদ্যা দ্বারা পৃথিবীর আকতি, ধৰ্ম্ম, বিভাগ, গতি প্রভৃতি জ্ঞাত হওয়া যায়।” অামি বলি “যে বিদ্যা শিখিতে হইলে দেশের ভূয়ো গোল উপস্থিত হয়, তাছাকেই ভূগোল বিদ্যা কহে ।” ভূগোল তত্ত্ব বিষয়ক যাবতীয় বিষয়ই কি নিঃসংশয়ে সিদ্ধান্তিত হইয়াছে ? ভূগোল তত্ত্ব বিষয়ে অদ্যপি নানা মুনির নানা মত রছিয়াছে। পৃথিবী গোল কি ডিম্বাকৃতি কি চক্রাকার, অদ্যাপি কেছ তাহা স্থির করিতে পারেন না । এখন এ সম্বন্ধে যত দূর পর্যন্ত স্থির সিদ্ধান্ত হইয়াছে, অনেক ভূয়োগোলই তাহার কারণ। যাহা চক্ষের অগোচর ও অনুমান সাপেক্ষ, তাছার স্থির সিদ্ধান্ত করিবার পূর্বে অনেক ভুয়ো গোল ছইয়া থাকে। অনেক ভূয়োগোলের পর এই পর্যন্তু স্থির হইয়াছে এবং এ সম্বন্ধে কোন নুতন' কথা উপস্থিত Հծ