জ্ঞানাঙ্কুর ফাঃ, ১২৮২) প্রণেতা নছেন, দিমস্তিনিস ও অবিসম্বাদিক্তরূপে সর্বশ্রেষ্ঠ বাগ্মী নহে ন ; কিন্তু বসওয়েল চরিত্যাখ্যায়কদিগের সর্বশ্রেষ্ঠ । তাছার দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী নাই । তিনি তাহার প্রতিযোগিদিগকে এত দূরবর্তী করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন যে, তাহাদিগকে তৎসমক্ষে উপস্থাপিত করা ঔচিত্যের একান্ত বিরোধী ।” পরমুখপ্রেক্ষী ভারতবর্ষে এরূপ একটী বসওয়েল জন্ম পরিগ্রহ করিয়া আপনাকে কোন জনৃসনের দৈনন্দিন কার্য্যকলাপ পৰ্য্যবেক্ষণে নিয়োজিত করেন নাই । ভারতীয় গৌরবের নিদানভূত মনস্বিগণ কণপনার গর্ভে প্রস্থত হইয়াছেন, কণপনার ক্রেগড়ে লালিত হইয়া ছেন, এবং পরিশেষে কণপনাতেই বিলীন হইয়া গিয়াছেন । যে মানবীলীলা আদ্যোপান্ত এইরূপ কণপনায় পর্য্যবসিত হইয়াছে, তাছার স্বরূপ সহৃদয়গুণের হৃদয়ঙ্গম হওয়া একাত্ত অসম্ভাবিত । ७उबिबक्रनं বসওয়েল যেমন স্বীয় অনুপম গ্রন্থে অক্ষরে অক্ষরে সজীব জনসনের চরিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন, ভারতীয় ব্যক্তির হস্তে ভারতীয় ব্যক্তির চরিত্র সেরূপ অঙ্কিত হওয়া সম্ভবে না। ভারতের দুর্ভাগ্যবশতঃ এরূপ চিত্র তুলিকাবিন্যাসদোষে প্রায়ই অতিরঞ্জিত বা অরঞ্জিত হুইয় উঠে । আমরা সঞ্জীব ভবভূতি ।
- yჯyტr
ভবভূতির চরিত্র অঙ্কিত করিবার জন্য লেখনী ধারণ করি নাই । স্বপ্রণীত কতিপয় পুস্তক ব্যতীত যাঙ্কার অন্য কোন চিহ্ন বর্তমান নাই, তাহার বিষয় জীবন-চরিতের সম্মানিত পদের প্রতিপাদ্য করা দনরবচ্ছিন্ন অহম্মুখতার পরিচায়ক। আমরা যাহা বলিব, তাহা ভবভূতির জীবিতকাল-নির্ণয় প্রসঙ্গের এক দেশ মাত্র। আমরা এই উদ্দেশ্যস্থত্রে পরিচালিত হইয়াই বর্তমান প্রস্তাবের অবতারণায় প্রবৃত্ত হইতেছি । ভবভূতি কোন সময়ে, কোন দেশ সমলঙ্কত করিয়াছিলেন, তাছার নিরূপণ করা সহজ সাধ্য নছে । মহিমবর পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহোদয় স্বমুদ্রিত উত্তর চরিতের ভূমিকায় লিখিয়াছেন, “এই তিন নাটক (বীরচরিত, উত্তর-চরিত ও মালতীমাধব) ভিন্ন ভবভূতি আর কোনও গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন কি না, তাছা বলিতে পারা যায় না । डिनि কোন সময়ের লোক তাছারও নিরূপণ করা সহজ নছে । কেছ কেছ অনুমান করেন, তিনি সহস্ৰ বৎসরের কিছু পূৰ্ব্বে ভূমণ্ডলে প্ৰাছ’ ತ হইয়াছিলেন । বীরচরিত ও মালতীমাধবের প্রস্তাবনাতে সুত্রধার মুখে তিনি আপনার যে পরি
