পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবতত্ত্ব । (জ্ঞানাকুর ফাঃ, ১২৮২ মানবতত্ত্ব। উপক্রমণিকা । মানব বলিলে আমরা দুই হস্ত দুইপদবিশিষ্ট জীবমাত্রকেই বুঝি ; সুতরাং বৃহৎ অট্টালিকাবাসী উজ্জ্বল হীরকমণ্ডিত বেশধারী মহাপরাক্রান্ত সম্রাটও মানব, জীর্ণকুটীরবাসী শত গ্রন্থাযুক্ত বসনধার), আছারাদি অভাবে শীর্ণকায় দরিদ্রও মানব ; প্রখরবুদ্ধিসম্পন্ন চানক্য, রিসিন্ধু প্রভৃতিও মানব, গণ্ডমূর্থ গদাধর চন্দ্র, বিদ্যাদিগগজ প্রভৃতিও মানব ; মহাবীর ভীষ্ম, অৰ্জুন, সেকন্দর, বোনাপাটী প্রভৃতিও মানব এবং দাসত্ব ব্যবসায়ী মসিজীবী আধুনিক বঙ্গবাসীরাও মানব ; কালিদাস, ভারবি, আর্য্যভট্ট, সেক্ষপিয়র, নিউটন প্রভৃতি মনীষাসম্পন্ন ব্যক্তিবগও মানব এবং অনক্ষর ও কুসংস্কারসম্পন্ন ভুলু, কালুও মানব ; মুসভ্য বুদ্ধিমান স্বরূপ অাৰ্য্য, ফরাসী, ইংলণ্ডীয়গণও মানব এবং নিতান্ত অসভ্য কদাকার কাফি, নাগা, ভীল প্রভূতিও মানব । এই প্রকারে দেখা যায় যে, মানব নামধারী জীবের মধ্যে পরস্পরের এত প্রভেদ যে, একের সম্বন্ধে অপরকে মানব বলিয়াই বোধ হয় না। প্রথমোক্তকে মানব বলিলে শেষোক্তকে পশু এবং শেষোক্তকে মানব বলিলে প্রথমোক্তকে দেবতা বলিতে হয় । অতএব অীমরা কাহাকে মানব বলিব ? মানবের লক্ষণ কি এবং উদ্দেশ্যই বা কি ? যদি দুই হস্ত দুইপদবিশিষ্ট গতি শক্তিসম্পন্ন পদার্থমাত্রই মানব পদবাচ্য, তবে তাহার মধ্যে এত প্রভেদ কেন ? সুবর্ণ পিত্তলে প্রভেদ কেন ? নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানবের সহিত পশুর এবং উচ্চশ্রেণী মানবের সহিত দেবতার সাদৃশ্য উপলব্ধি হয় কেন? যদি মানব মাত্রই এক পদার্থ এবং তাহাদের একই উদ্দেশ্য ও পরিণাম হয় তবে এত প্রভেদ কেন ? যদি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর মনুষ্যের উদ্দেশ্য ও পরিণাম ভিন্ন হয়, তবে তাহদিগকে কি প্রকারে এক পদার্থ বলা যায় এবং তাছাদের অধিকারী বা কি প্রকারে এইরূপ হইতে পারে ? সুরম্য হৰ্ম্ম্যনিবাসী রাজচক্রবর্তীর সছিত জীর্ণ কুটার বাসীর, অশেষ শাস্ত্রজ্ঞ দূরদর্শী পণ্ডিতের সতি অনক্ষর ও নিতান্ত মূর্থের এবং সভ্যতা চাকচিক্যশালী সুন্দর মানবের সছিত নিতান্ত কদাকার অসভ্যের বদি একই উদ্দেশ্য ও পরিণাম হয়, তবে ভণহীদের এত প্রভেদ কেন এবং সেই প্রভেদ জনিত মানাপমা