পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

్స 46 করা আমাদিগের নিতান্ত ধৃষ্টতার কাৰ্য্য, এইরূপ বিবেচনা করিয়াই এইরূপ বলিয়া থাকি । ঈশ্বর কৃত পদার্থ যে বিন উদ্দেশে হুষ্ট হইয়াছে, তাহা অামাদিগের বলিতে সাহস হয় না, কিন্তু জিজ্ঞাস্য এই যে, কাহার প্রয়োজন সাধনের জন্য সমুদায় স্থষ্ট হুইয়াছে ? এখানে মানব বক্তা, সুতরাং মানব বলিবেন যে, মানবের উপকারের জন্যই সমুদায় সৃষ্ট হইয়াছে। চন্দ্র, স্বৰ্য্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পৃথিবী, জল, বায়ু, সপ, ব্যাস্ত্র, রোগ, মৃত্যু সমুদায়ই মানবের উপকারের জন্য সৃষ্ট হইয়াছে । যদি বানরের হস্তে কলম থাকিত, ভাস্থ হইলে বোধহয় তাহারাও বলিত যে, মানবের সহিত সমুদায় বিশ্ব বানরের কল্যাণের নিমিত্ত হৃষ্ট হইয়াছে। আচ্ছা মানব ! তোমারই কথায় স্বীকার করা গেল যে, তোমারই জন্য সমুদায় সৃষ্ট হুইয়াছে। এক্ষণে বল দেখি তুমি কাহার উপকারের জন্য স্থষ্ট হইয়াছ ? যখন তুমি বলিতেছ, বিনা প্রয়োজনে কিছুই | সৃষ্ট ছয় নাই, তখন তোমারও স্বটি বিনা প্রয়োজনে হয় নাই বলিতে হইবে । অপরাপর পদার্থ তোমারই প্রয়োজন সাধনোদেশে হৃষ্ট হুইয়াছে বলিতেছ, কিন্তু তোমার স্বাক্টর প্রয়োজন কি ? যদি ৰল, মানবগণ স্বজাতীয় পরস্পরের উপকারের জন্য মানবতত্ত্ব । জ্ঞানী কুপ ফাঃ, ১২৮২ প্রয়োজন, তাছা হইলে প্রকৃত উত্তর হইল না । মানবজাতি দ্বারা বিশ্বের বা অপর কাছার ও কি প্রয়োজন সাধিত হয়, তাছা তুমি বলিলে না । তুমিই কি এই বিশ্বের সর্বস্ব ? তুমি কি স্বয়স্তু ? তুমি কি স্বাধীন ? যখন তোমার জন্ম মৃত্যু তোমার ইচ্ছাধীন নছে, অপরাপর পদার্থের ন্যায় তো মার যখন জন্ম ও মৃত্যু আছে, তখন তুমি কি বলিয়া বিশ্বের অপরাপর পদার্থ হইতে ভিন্ন সত্ত্ব আকাঙক্ষণ কর । যদি অপরাপর পদার্থের সৃষ্টি প্রয়োজন জন্য হইয়া থাকে, তবে তোমারও স্বটি প্রয়োজন জন্য হুইয়াছে বলিতে হইবে। যদি তুমি অকারণ সস্তৃত হও, তবে অন্য পদার্থ সকলকেও অকারণ সস্তৃত বলিতে হইবেক । যদি বল ঈশ্বরের প্রয়োজন সাধনেণদেশে মানবের হুষ্টি হইয়াছে, তাহ হইতে পারে মা, কেননা ঈশ্বরের আবার প্রয়োজন কি ? যদি থাকে, তবে অপর পদার্থ সকলও তাহার প্রয়োজন সাধনোদেশে হৃষ্ট হই#াছে বলিত্ত্বে হইবেক । কেমন তোমীর ন্যায় তৎসমুদয়ও তাহার সৃষ্ট । তুমি কেবল এইমাত্র বলিতে পার যে, তোমার শক্তি পৃথিবীস্থ অপরাপর পদার্থ হইতে অধিক ; তোমার বুদ্ধি এই অধিক্যের প্রধান হেতু । সেই বুদ্ধি বলে তোমরা পৃথিবীর সকল পদার্থের