পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান স্কুর ফাং, ১২ ৮২) উপর রাজত্ব করিতেছে কিন্তু তাহা বলিয়া তোমরা যে বিশ্বের অপরাপর পদার্থ হইতে ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী তাছা বলা যায় না। বিশ্ব সম্বন্ধে সমগ্র মানব জাতি একটা বালুক কণার সমানও হইতে পারে না। যাহা হউক,মানব কি, তাহার কার্য্য কি, উদ্দেশ্য কি J. পরিণাম কি তাহ জানিতে হুইলে মানবের আদি দেখা অবশ্যক । সুতরং বিশ্বেরও আদি দেখা আবশ্যক হইতেছে । প্রথম পরিচ্ছেদ । বিশ্ব । বিশ্বের আদি দেখিব, কিন্তু আমাদের তাহা দেখিবার ক্ষমতা আছে কি না ? আমরা কখনও কি কোন পদার্থের আদি দেখিয়াছি ? যদি মা দেখিয় থাকি, তবে বিশ্বের আদি দেখিতে আমাদিগের ইচ্ছা হয় কেন ? মানব মাত্রেরই স্বভাব এই যে, পদার্থ মাত্রেরই আদি অর্থাৎ উৎপত্তি ও কারণ অন্বেষণ করে। ইহার কারণ কি ? আদি কাছাকে বলে ? প্রথম অবস্থাকে কি আদি বলেন ? সুতরাং যাছার পূৰ্ব্বে কিউ ছুই ছিলনা, তাছাকেই আদি বলিতে হুইবে । এহ্মণে দেখা যাউক আমরা কোন পদার্থের আদি দেখিয়াছি কি না। তোমার ভূমিষ্ঠ ছওন কালীন অবস্থাকে কি তোমার আদি বলিবে ? তাছা কখনই বলিতে পারন । • কেননা মানবতত্ত্ব | ➢ ዓS তৎপূৰ্ব্বে তুমি মাতৃগর্ভুে ছিলে, তাছার পূৰ্ব্বে তোমার পিতা মাতার শোণিতে ছিলে, তাছার পূৰ্ব্বে গবাদি জীবদেছে ও ধান্যাদিতে বর্তমান ছিলে এবং তাহারও পূৰ্ব্বে মৃত্তিকা জল বায়ু প্রভৃতিতে অধিষ্ঠিত ছিলে। এইরূপ । যত অন্বেষণ করিবে, ততই তোমার অগ্রিম অবস্থা অসংখ্য হইয়া পড়িবে কোনমতে তোমার আদি অনুসন্ধান পাইবেন । অতএব যাহাকে তোমার উৎপত্তি বলিলে, তাহা তোমার উৎপত্তি নহে, অবস্থান্তর মাত্র। পূৰ্ব্বে তোমার মরদেহ না থাকিতে পারে, কিন্তু যে সকল পদার্থ হুইতে তোমার দেহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, তৎসমুদায়ই বৰ্ত্তমান ছিল । তুমি মেঘকে বৃ কারণ বল, কিন্তু মেঘ বাস্প হইতে জন্মে। বাস্প আবার জল হইতে উৎপন্ন হয়। ষে জল ছিল, তাছাই রহিল। ষে সকল পদার্থ লইয়া তোমার দেহ গঠিত, তোমার মৃত্যু হইলে আবার তাহাই হুইবে । শাস্ত্রকারেরা ইহাকেই “পঞ্চে পঞ্চ মিশন কহেন ।” এই প্রকারে দেখিতে পাইবে যে, কোন পদার্থেরই অাদি পাওয়া যায় না। যাদ্ধাদের উৎপত্তি ও নাশ তোমাদের চাকুব প্রত্যক্ষ झ३८ऊ८छ्, সে অবস্থাস্তুর মাত্র । যেমন মৃত্তিক ঘট হইতেছে, স্বর্ণ, অলঙ্কার হইতেছে, তুলা বসন হইতেছে, সেইরূপ ভৌতিক | | |