পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* १९ পদার্থ মানব হইতেছে, বাস্প বৃষ্টি হইতেছে। যাহা কিছু দেখিতে পাও তৎসমুদায়ই এক অবস্থা হইতে অন্য অবস্থা প্রাপ্ত হইতেছে । যখন কোম পদার্থ এক অবস্থা হইতে অন্য অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তখনই আমরা তাহার উৎপত্তি বলিয়া থাকি । সে পদার্থের সেই অবস্থার সেই আদি বটে, কিন্তু তাহাকে প্রকত আদি বলা যায় না । যখন কিছুই ছিলনা, তখন যাছা উৎপন্ন হইল, তাহাকেই আদিম অবস্থা বলা যায়। কিন্তু কিছুই ছিলনা অথচ কিছু হইয়াছে এরূপ আমরা কখন দেখি নাই । এরূপ কণপনা করাও আমাদিগের অসাধ্য। মনুষ্য যাহা কখন দেখে নাই, তাহার কণপনা করিতে ও অক্ষম । দেখিয়া শুনিয়াই মানবের জ্ঞান । আমরা স্পষ্ট দেখিতেছি, কোটা শূন্য একত্রিত করলেও এক হয়না এবং এককে সহস্ৰ কোটা অংশ করিলেও শূন্য হয় না। কিছু না, কখন কিছু হয়না, কিছু, কখন কিছুনা হয় না । পূৰ্ব্বে কখন কিছু ছিলন। অথচ বিশ্ব হইয়াছে এবং এক্ষণে বিশ্ব আছে, পরে কিছুই থাকিবে না, একথা নিতান্ত যুক্তি বিৰুদ্ধ এবং ইছা মানব বুদ্ধির অতীত। বোৰ ক্ষয় এই কথার সমন্বয় করিতে পণ্ডিতেরা কহিয়াছেন, পরমাণুর ধ্বংস নাই। পরমাণু পূৰ্ব্বেও যেরূপ ছিল, মানবতত্ত্ব { (জ্ঞানfকুর ফাঁ:, ১২৮২ পরেও সেই রূপ থাকিবে । র্তাহার কছেন, সেই পরমাণু পুঞ্জ হইতে বিশ্বের উৎপত্তি এবং যখনু বিশ্ব ধ্বংস হইবে, তখন সেই পরমাণু পুঞ্জ রছিয়া যাইবে । কেছ হ বলেন যে, কিছু ছিলনা সত্য, কিন্তু ঈশ্বর ছিলেন। সেই ঈশ্বর হইতেই বিশ্বের উৎপত্তি। কিন্তু জিজ্ঞাস্য এই যে, যে রূপে বাস্প হইতে জলের উৎপত্তি এবং জীব হইতে বৃক্ষের উৎপত্তি, ঈশ্বর হইতে বিশ্বের উৎপত্তি কি সেই রূপ ? যদি তাছা হয়, তাছা হইলে ঈশ্বরকে বিশ্বের পূর্বাবস্থা বলিতে হইবেক সুতরাং ঈশ্বরও বিশ্বের কারণ নছেন । কিন্তু তাহার সেরূপ বলেন না । তাহারা ঈশ্বরকে বিশ্ব হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন বলেন । ঘট সম্বন্ধে কুম্ভকার যেমন এবং অলঙ্কণর সম্বন্ধে স্বর্ণকণর যেমন, র্তাহারা বিশ্ব সম্বন্ধে তাহা হইতেও ঈশ্বরকে অনেক উচ্চ বলেন । র্তাহারা বলেন পূর্কে কিছুই ছিলনা ; একমাত্র অনাদি অনন্ত ঈশ্বর ছিলেন । র্তাহার সৃষ্টি করিতে ইচ্ছা হইল এবং সেই ইচ্ছা হইতেই বিশ্বের উৎপত্তি । | কিন্তু একথা কতদূর বিশ্বাস্ত ? অনাদি ব্যক্তির কাৰ্য সাদি হওয়া কতদূর সঙ্গত ? তুমি বিশ্বের সৃষ্টিকাল যতই অধিক বলনা কেন, অনাদি কালের সহিত তুলনায় নিতান্তু অলপ । এই অনন্তকাল ঈশ্বর নিশ্চিন্ত হইয়া