পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sጫ9 প্রিয়কাৰ্য্য সাধন ও র্তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়াই ধৰ্ম্ম এবং অনুতাপই প্রয়শ্চিত্ত । কিন্তু তাহদের মতেও বিধৰ্ম্মীর অনন্তকাল নরকগামী ! এক্ষণে আমরা কোন্‌ মত অবলম্বন করিব ? কাহাকে প্রক্লত ঈশ্বর বলিব ? রিশু খৃষ্টকে ? মহম্মদকে ? বিষ্ণুকে ? না দুর্গাকে ? কোন ধর্মের মত র্তাহার প্রকত আজ্ঞা ? কোন পথে চলিলে আমাদিগকে নিরয়গামী হুইতে হইবে না ? স্বৰ্গভোগ-সুখের বাঞ্ছা না করিলেও চলে, কিন্তু নরকভোগের আশঙ্কা না করিয়া থাকা যায় না । সুতরাং আমাদের ঈশ্বর নিরূপণ করা বিশেষ আবশ্যক হইতেছে। যাহার উপাসনা করাই আমাদিগের মুখ্যকাৰ্য্য,যিনি ৰুষ্ট হইলেই আমাদিগের সর্বনাশ, ষণস্থার কৰুণাবলে আমরা আহার বিছার করিতেছি, তাছাকে জানা নিতান্ত আবশ্যক । কিন্তু তিনি কে ? র্তাহার স্বরূপ কি এবং উদ্দেশ্য কি ? সকলেই বলিবেন যিনি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, বর্ণহার রূপায় আমরা সমুদায় প্রাপ্ত হইয়াছি, তিনিই ঈশ্বর । ভিন্ন ভিন্ন মতাবলম্বী হুইলেও এ বিষয়ে সকলের একমত । সকলেই একম্বরে বfলয়া থাকেন ঈশ্বর বিশ্বের সৃষ্টিকৰ্ত্তা'। কিন্তু পুর্বে প্রতিপন্ন হুইয়াছে যে, বিশ্ব অনাদি অনন্ত, যাছা অনাদি তাহার আবার সৃষ্টি কি ? সুতরাং মানব তত্ব | | | t জ্ঞানাঙ্কর ফাঃ, ১২৮২) বিশ্বের সৃষ্টিকৰ্ত্তাও হইতে পারেন । ঈশ্বরের যে সৰ্ব্ববাদী সম্মত লক্ষণ, ভদ মুসারে ঈশ্বরের অস্তিত্ব উপলব্ধি হয় না। যদি বল সকল মনুষ্যই একাল পর্য্যন্ত যখন ঈশ্বরের সত্বা স্বীকার করিয়া অগসিয়াছেন, তখন এক কথায় তাহা খণ্ডন হইতে পারে না। সৰ্ব্ববাদী সম্মত মত কখন মিথ্যা হয় না। আমরা বলি তাহা নহে, কেননা চিরকাল সৰ্ব্বদেশে নারীজাতি সর্বপ্রকারে পুৰুষের এবং নিম্নশ্রেণীর মনুষ্য উচ্চ শ্রেণীর মনুয্যের সম্পূর্ণ অধীন বিবেচিত হইয়া আসিয়াছে, এক্ষণে ভাছার বিপরীত বিৰেচিত হয় কেন ? চিরকাল রাজা সৰ্ব্বে সৰ্ব্বা ; ভূত, প্রেত, দৈত্য, দানব সৰ্ব্বদা অত্যাচার করিত, দেবতার রাজ্য ছিল। মন্ত্রমহৌষধ ছিল। এক্ষণে সে সক লের আধিপত্য কোথায় ? অসভ্যাবস্থায় সকল দেশেরই মত প্রণয় একরূপ ছিল। এক্ষণে সে সকল মিথ্যা প্রতিপন্ন হয় কেন ? বিশেষ, ঈশ্বর সম্বন্ধে সর্ববাদী সন্মুক্ত মত পৃথিবীতে নাই। বিশ্বকৰ্ত্তার নাম কেহ বিষ্ণু, কেহ শিব, কেহ দুর্গ বলিতেছেন। যদি বলা যায়, নাম ভিন্ন হুইলেও সকলই ঈশ্বর প্রতিপাদ্য, তাহা হুইলে বুঝিতে হইবে সে, সৰ্ব্ববাদী সৰ্ম্মত মত এই যে, জগত্তকর্তা আছেন, বিশ্ব অকারণ সস্তুত নছে। সেই কারণ অনাদি অনন্ত। কিন্তু প্রতিপন্ন হইয়াছে বিশ্বের আদি নাই,