পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مراه ده আছে, এজন্য ইচ্ছা আছে। উদ্দেশ্য বিনা কখনও ইচ্ছা হইতে পারেন । ঈশ্বরের কি উদ্দেশ্য অাছে যে র্তাহার ইচ্ছা থাকিবে? যখন সমুদায়ই র্তাহার, যখন র্তাছার কিছুরই অভাব নাই; তখন র্তাহার উদ্দেশ্যও নাই, ইচ্ছাও নাই। মানব সুখাভিলাসী ও স্বার্থপর, সুখ তাহার প্রার্থনীয়, মুখাভিলাষই তাহার ইচ্ছা । ঈশ্বরকে স্বার্থপর মুখাভিলাষী না বলিলে এবং সেই সুখ প্রাপ্তি র্তাহার ক্ষমতাধীন নয় না বলিলে র্তাহার ইচ্ছা আছে বলা যায় না। কিন্তু তাছা বলিতে গেলে তাহার ঈশ্বরত্ব কোথায় থাকিবে ? কারণ মানবের যাহা স্বার্থের অনুকূল তাহাই প্রিয়, যাছা তাছার বিপরীত তাছাই অপ্রিয়। ঈশ্বরের যখন স্বাৰ্থ নাই তখন প্রিয়াপ্রিয় কি ? যদি তাছার প্রিয় প্রিয় থাকিত, তাহা হইলে তিনি কেবল প্রিয় পদার্থের স্থষ্টি করিতেন, অপ্রিয় কখনই স্থষ্টি করিতেন না। দুৰ্থকলা দিয়া কখনও সাপ পুষিতেন না। যদিও করিতেন তাহা হইলে কোন পদার্থ বা কার্য র্তাছার প্রিয় তাহা আমণদিগকে বলিয়া দিতেন । যখন র্তাহার প্রিয় কার্য্যানুষ্ঠানই আমাদিগের কৰ্ত্তব্য তখন তাহা আমাদিগকে বলিয়। দেওয়া ভঁছার নিতান্ত উচিত । কিন্তু তিনি মানবতর তাহা আমাদিগকে বলিয়া দেন নাই। । কেনন। তাহ হইলে তুমি বাহকে ঈশ্ব ( স্থানাঙ্কর ফাঃ, ১২৮১ রের প্রিয়কাৰ্য্য বল, আমি তাহাকে তাহার নিতান্ত অপ্রিয় বলিতাম না। কেহ বলেন জীবহিংসা ঈশ্বরের অপ্লিয়, কেহ বলেন জীবহিংসা তাহার অভিপ্রেত। নতুবা ব্যাঘ্ৰাদি হিংস্ৰজন্তু ছাগাদিকে বিনাশ করিত না । এইরূপে দেখা যায় ঈশ্বরের প্রিয়াপ্রিয় সম্বন্ধে জগতে সহঅ সহস্র বিপরীত মত প্রচলিত আছে। মনুষ্য মধ্যে যাহারা সমাজের বিঘ্নকারী তাহারা দুষ্ট এবং যাহারা হিতকারী তাহার শিষ্ট । দুষ্টের দ্বারা আমাদের অনিষ্ট হয়, এই জন্য আমরা তাছাদের দমন করি এবং শিষ্টের দ্বারা অামাদের উপকার হয়, এজন্য তাছাদের উৎসাহ বৰ্দ্ধনার্থ পুরস্কার দেই, কিন্তু ঈশ্বর দুটের দমন ও শিষ্টের পালন করেন কেন ? আমাদের দ্বারা তাহার কোন ছিতাস্থিত হইতে পারে না। যদি বিশ্বের ছিতাহিত উ দেশ্যে করেন, তাহাও অসম্ভব । কেনন শিষ্ট দুষ্ট সকলই তাছার সৃষ্ট । দুষ্ট যদি তাহার অভিপ্রেভ ন হইত, তাহা হইলে কখনও তিনি দুষ্টের স্থষ্টি করিতেন না। যখন তিনিই দুটের স্বষ্টি করিয়াছেন, তখন তাহার দও দেওয়া তাহার নিতান্তু অসম্ভব। অনেকে বলেন ঈশ্বর দুষ্টের স্বষ্টি করেন নাই, মানবগণ আপনারাই তাহার অনভিপ্রেত কার্যা করিয়া দুষ্ট হয় ; ! কিন্তু একথা নিতান্ত আশ্রদ্ধেয়। তাছা