পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 তাছার উল্লেখ করা বাহুল্য মাত্র । যাহারা অপেক্ষাকৃত উন্নত অবস্থায় অবস্থিত,তাহাদিগকে উক্তরূপ সংস্থান না করিয়া দিলেও চলিতে পারে । ৫ম । সুশিক্ষিত অন্ধদিগের নিবাসশিক্ষিত বিষয়ানুসারে যথারীতি ব্যবসায় অবলম্বন । . এই পঞ্চম ও শেষ উপায়ট প্রকষ্টপদ্ধতি ক্রমে কার্য্যে পরিণত হইলে, অন্ধদিগকে আর উদরামের জন্য লালায়িত হইয়া বেড়াইতে হয় না। অন্ধগণ শিক্ষালয়ে যে বিষয়ে সুশিক্ষিত হইবে, সংস্থানানুরূপ সেই বিষয় অবলম্বন করিয়াই আপনাদিগের জীবিকা নিৰ্ব্বাছ করিতে সমর্থ হইতে পারে। অন্ধগণ যদি অন্ধনিবাসে শিক্ষিত হইয়া ব্যবসায় বিশেষের পরিচালনে সমর্থ হয়, তাহা হইলে তাহার পরমুখাপেক্ষা না করিয়া আপনাদিগের পোষ্যবগের .পর্য্যন্ত ভরণ পোষণ নিৰ্ব্বাছ করিতে পরিবে, সন্দেহ নাই । অনেকে বলিয়া থাকেন, গ্রীষ্মকালে ‘পাখাটানা অন্ধদিগের জীবনেপায়ের একটা উৎকৃষ্ট উপায়। একবার সম্বাদ পত্র বিশেষেও ইছার আন্দোলন হইয়াছিল। কিন্তু পাখাটনি’ কাৰ্য্য ইভর শ্রেণীর অন্ধদিগের করণীয়। ভদ্র শ্রেণীর অন্ধগণ এরূপ কার্য্যে কখনও নিয়োজিত হইতে সম্মত হুইবেন না । বিশেষতঃ সকল সময়ে পাখাটানার অন্ধদিগের শিক্ষণ ও জীবনোপায়। (জ্ঞানাঙ্কুর অঃ ১২৮২ আবশ্যকতা উপস্থিত ছয় না, কেবল গ্রীষ্মকালেই ইহার প্রয়োজন পড়ে । এরূপ ক্ষণস্থায়ী কার্য্যের জন্য উৰ্দ্ধনেত্র না হইয়া পূৰ্ব্ব প্রদর্শিত উপায়ানুসারে অন্ধদিগের জীবিকা নিৰ্ব্বাছ করণই সৎপরামর্শ সিদ্ধ । তবে প্রয়োজন উপস্থিত হইলে, ইভরশ্রেণীর অন্ধগণ এই কার্ষ্যে নিয়োজিত হইয়া উদরামের সংস্থান করিতে পারে । আমরা প্রস্তাবের পল্লবিত দোষ পরিহারার্থ এই স্থলেই লেখনীর ব্যায়াম ক্রিয়ায় বিরত হইতে বাধ্য হুইলাম । উপসংহার সময়ে আমরা দেশহিতৈষী ব্যক্তিদিগকে একটী অন্ধনিবাস স্থাপন করিতে আগ্রহ সহকারে অনুরোধ করিতেছি । অন্ধদিগের ন্যায় তপস্বিগণের নিমিত্ত এক একটা আশ্রম থাকা নিতান্ত উচিত। রাজপুত্রের শুভাগমন স্মরণীয় করিবার নিমিত্ত অনেকেই অনেক সৎকার্য্যের অনুধাবনে প্রবৃত্ত হইতেছেন, যদি কোন মহাত্মা এই উদ্দেশে একটী অন্ধনিবাস স্থাপন পূৰ্ব্বক আমাদিগের প্রদর্শিত উপায় স্তলি কার্য্যে পরিণত করেন, তাছা হইলে তিনি দেশের একটা প্রধান অভাব মোচন করিয়া অনন্ত কীৰ্ত্তির অধিকারী হইবেন সন্দেহ নাই।