পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানীসুর ফাঃ, ১২ ৮২) হইলে মানবকে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমকক্ষ শক্রি শয়তান বলিতে হয় এবং ঈশ্বরেরN সৰ্ব্বশক্তিমত্তার হামি হয় । র্তাহার ইচ্ছ, মানবগণ ভাল হউক, কিন্তু মানব তাহা হইতে দিল না ; ঈশ্বরের ঈশ্বরত্ব কোথায় রহিল ? মানব ঈশ্বরকে পরাস্ত করিল। ঈশ্বর মৃত্যুর মানবতত্ত্ব । | i | i i ! Ֆ ԳՀ, প্রাপ্ত হইলে ঐ রূপ তাছার সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্তি জন্মায় । অপর ব্যক্তিগণও তাহার দৃষ্টান্তে সৎকৰ্ম্ম করিতে ও দুষ্কৰ্ম্ম না করিতে শিক্ষা প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু ঈশ্বর আমাদিগকে যে দণ্ড বা পুরস্কার দেন তাহা কোন দুষ্কৰ্ম্ম বা সৎকর্মের জন্য তাহা কিছুই জানা যায় অন্তে তাহাকে দণ্ড দিতে পারেন, কিন্তু | না। ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মশাস্ত্রে দুষ্কৰ্ম্ম ও জীবিত মনুষ্যের নিকট ঈশ্বরকে পরাজয় স্বীকার করিতে হইল। কিন্তু জিজ্ঞাস্য এই, মানব সেই ঈশ্বর বিজয়িনী শক্তি কোথায় পাইল ? মানব যখন ঈশ্বরের সৃষ্ট, তখন সেই ঈশ্বরাজ্ঞা ভঙ্গকারিণী শক্তি কি সেই ঈশ্বর হইতে পায় নাই ? মানবের নিজস্ব কি কিছু আছে ? বুদ্ধি, বিবেক, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসৰ্য্য, প্রভৃতি মানসিক শক্তি সকল কি মানব নিজে অণনিয়াছে? যদি না হয়, যদি সমুদায় ঈশ্বর দত্ত, তবে ঈশ্বর দত্ত শক্তি অনুসারে কৃতকাৰ্য্যের জন্য সে দণ্ডিত বা পুরস্কৃত হইবে কেন ? যদিও হয়, তাহার উদেশ্য সিদ্ধ হয় না কেন ? মানবগণ যে দও পুরস্কার প্রদান করে, তাহার ' উদ্দেশ্য কি ? শিক্ষাই দণ্ড পুরস্কারের উদ্দেশ্য। কোন ব্যক্তি কোন ছফৰ্ম্মের মিমিত্ত দণ্ড প্রাপ্ত হইলে সে বুঝিতে পারে যে এই কৰ্ম্ম করিয়াছিলাম তজন্য দণ্ড পাইলাম ; পুনরায় এরূপ কৰ্ম্ম করিব না। সৎকৰ্ম্মে পুরস্কার সৎকর্মের লক্ষণ ও তাছার দণ্ড পুরস্কারের কথা লিখিত আছে সত্য, কিন্তু তাহা পরস্পর সম্পূর্ণ বিপরীত। এক ধৰ্ম্মানুসারে যাহা সৎকৰ্ম্ম, অপর ধৰ্ম্ম অনুসারে তাহ নিতান্ত দুষ্কৰ্ম্ম । তাছার কোনটী সত্য জানিবার উপায় নাই । কোন কুকৰ্ম্মেরই আমরা প্রত্যক্ষ ফল উপলব্ধি করিতে পারি না । আহার না করিলে জীবন ধারণ হয় না, একথা যেরূপ কাহাকেও শিখণইয়া দিতে হয় না, ক্ষুধা আপনিই আহারে প্রবৃত্তি জন্মায় ; সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত ও কুকৰ্ম্ম হইত্তে নিবৃত্ত করিবার জন্য সেরূপ কোন বৃত্তি আমাদের হৃদয়ে নাই । কেহ কেহ ঐরূপ বৃত্তির সত্ত্বা স্বীকার করেন । র্তাহারা. বলেন সেই মনোবৃত্তির শক্তি দ্বারা আমাদের মনে কুকৰ্ম্ম করিলে প্লানি ও সৎকর্ষ্য করিলে প্রসন্নতা জন্মে । আমরা বলি, সেট কেবল আমাদিগের অভ্যাস ও সংস্কারের নির্মুিক্ত হইয়া থাকে। সামান্য মক্ষিকা নাশে ধৰ্ম্মিক ব্যক্তির