পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه براند মনে গ্লানি জন্মে, কিন্তু সহস্র মনুষ্য বিনাশে দস্থ্য বা রাজার কষ্ট হয় না। কোন ছিন্তু ঔষধের নিমিত্তও কিঞ্চিৎ সুরা পান করিলে আপনাকে পিক্কার দেন, কিন্তু ইংরেজ প্রভৃতি জাতি অহরহ মদ্য পান করিয়া আনন্দানুভব করিতেছেন । এইরূপ যাহার যে রূপ সংস্কার ও শিক্ষা, তদনুরূপ কাৰ্য্য নিমিত্ত মনের গ্লানি বা প্রসন্নতা জন্মে, তাহা সকলের সমান নছে, সুতরাং ফুধণর ন্যায় প্রাকৃতিক বৃত্তি নহে । কেছ কেহ বলেন, কৃভোজনের ফল রোগ, শ্রমের ফল লাভ, দানের ফল যশঃ ইত্যাদি প্রত্যেক কার্ষ্যের ফল প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হয় । আমরা বলি তাহা নহে। কতকগুলি কার্য্যের কিছু কিছু ফল জানা যায় বটে, কিন্তু তাহাকে ঐশ্বরিক না বলিয়া সামাজিক ও ভৌতিক নিয়মের ফল বলাই সঙ্গত । সে সকল অসভ্য বন্য জাতিরা নিতান্তু অলপ জানে ; সত্যের নানা প্রকার বিজ্ঞান শাস্ত্রের অনুশীলন করিয়া কিছু কিছু জানিয়াছেন ; তাহাও নিতান্ত অণপ। কত লোক চিরকাল কুভোজন করিয়া দীর্ঘ জীবী হইতেছে আবার কত লোক অতি মুনিয়মে আtহারাদি করিয়t ৰুগ্ন হুইয়া অকালে মানবলীলা সম্বরণ করিতেছে । কেছ বিনা পরিশ্রমে অতুলৈশ্বৰ্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছে, কেহ বা দিবরাত্রি ভয়ানক পরিশ্রম করিয়া মানবতত্ত্ব । (জ্ঞানীকুর ফাঃ, ১২৮২ উদারপন্ন সংগ্ৰহ করিতে পারিতেছে না । এইরূপ অনুসন্ধান করিলে কোন কার্যেরই একরূপ ফল দৃষ্ট হয় না। আবার অনেকে স্ত্রী-পুত্র বিয়োগ জনিত ক্লেশণনুভব করে, কিন্তু কোন্‌ কার্য্যের ফলে তাহারা সেই ক্লেশ পায়, অনুসন্ধান করিলে তাহার কিছুই জানিতে পারা যায় না । এই সকল বিবেচনা করিলে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, ঈশ্বরের আমাদিগকে দণ্ড বা পুরস্কার দেওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই । ঈশ্বর উপাসনাপ্রিয় অর্থাৎ যিনি ভাছার গুণাবলী বর্ণনা করেন, তাহার প্রতি তুষ্ট হয়েন এবং যিনি ভাহা না করেন, তাহার প্রতি ৰুষ্ট হয়েন । মনুষ্য ছোট বড় আছে এবং তাহার আত্মাভিমান আছে, এজন্য যে তাহার প্রশংসা করে তাহার প্রতি তুষ্ট হয় । তাহার বড় হুইবার ইচ্ছা নিতান্ত প্রবল। সে যাহার মুখে শ্রবণ করে যে, তাহার সেই ইচ্ছা সফল হইয়াছে অর্থাৎ অনেক মনুষ্য অপেক্ষ সে অধিক গুণবান্‌ হুইয়াছে, তাহার প্রতি সে তুষ্ট হয় কিন্তু যে তাহার সে গুণবাদ না করে, তাহার প্রতি ৰুষ্ট হয় না । যে লিন্দা.করে তাহারই প্রতি ৰুষ্ট ছয় । কিন্তু ঈশ্বর প্রশংসা না করিলে ৰুষ্ট হয়েন । মনুষ্য হইতেও তাছার নিজগুণানুবাদ শ্রবণ লালসা অধিক ইছা কি রূপে বিশ্বাস করা যায় । তিনি