পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ তাহ হইলে অবশ্যই আমাদিগকে তাহার নিকট কতজ্ঞ হইতে হুইত । বোধ হয় এই কথাটা রক্ষা করিবার জন্য আর্য্য শাস্ত্রকারের ত্রিমূৰ্ত্তির কণপনা করিয়াছেন। ব্রহ্মা স্থষ্টি করেন, বিষ্ণু পালন করেন ও শিব সংহার করেন । এমতে বিষ্ণুর নিকট আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া নিতান্ত উচিত, কেন না, তিনি খাইতে ন দিলে আমরা বাচিত}ম না । বিশেষ যদি ঈশ্বর আমাদিগকে সুখী করিতেন, তাহা হইলেও একদিন আমাদিগের নিকট কৃতজ্ঞতার আশা করিতে পারিতেন । কিন্তু জগতে কেহই সুখী নহে । কেহ অমের নিমিত্ত দিবারাত্রি লালারিত হইয়া বেড়াইতেছ, কেহ রোগ যন্ত্রনায় অস্থির, কেই পরমসুন্দরী স্ত্রী বা মেহাস্পদ পুত্ৰশোকে কাতর, কেহ শক্ৰকর্তৃক অপমানিত, কেহ গৃহাভাবে অশয়বিহীন, ইত্যাদি নানাবিধ কষ্ট মানবগণকে দিবানিশি যাতন দিতেছে । কুলির আটটা পয়সার জন্য সমস্তদিন সুৰ্য্যেণত্ত (পে মটী কাটিতেছে, তাছাও সকল দিন জুটিতেছে না, তজ্জন্ত কৃতজ্ঞ হইবে ? না ক্লষকেরা সম্বৎসর রৌদ্রব্যতাদি সহ্য করিয়া প্রাণান্তকর পরিশ্রম পূর্বক শস্য বপন দি করিয়া পরিশেষে অতি বৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি নিবন্ধুন কিছুই পাইতেছে না বলিয়া রতজ্ঞ হইবে ? পেটের দায়ে ধাঙ্গড়ের দুর্গন্ধময় ম্যকুকার জমক নামব তত্ত্ব জ্ঞান সুর ফাঃ, ১২৮২) কৎসিত স্থান সকল পরিষ্কার করিতেছে বলিয়া কৃতজ্ঞ হইবে, না মেথরের বিষ্ঠা বহন করিয়া, জীবিক অর্জন করিতেছে বলিয়া কৃতজ্ঞ হইবে ? উড়িষ্যাবাসীরা দুর্ভিক্ষ পীড়িত হইয়া প্রাণস্তুক কষ্ট পাইতেছে বলিয়া কৃতজ্ঞ হুইবে, না প্রচণ্ড বাত্যপীড়িত হইয় গৃহদ্বার শূন্য হইয়াছে বলিয়া ডায়মও হারবর বাসীরা কতজ্ঞ হইবে ? মহামারিতে জনশূন্য হইয়াছে বলিয়া গোঁড়বাসীরা | ক্লতজ্ঞ হইবে, না আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যৎ পাতে ভস্মীভূত হইয়াছে বলিয়৷ নেপল নবাসীর কৃতজ্ঞ হইবে ? মুসলমান ও ইংরাজদেগের পদলেহন কfরভেছে বলিয়া আর্য্যেরা কতজ্ঞ হুইবে, না ঔপনিবেসিক ইয়ুরোপীয়দিগের দ্বারা উৎসাহিত হইয়াছে বলিয়। আমে| রিকাবাসিরা কৃতজ্ঞ হবে ? চক্ষু মই বলিয়। অন্ধ ও কর্ণ নাই বলিয়া বধির কৃতজ্ঞ হইবে, না বাকশক্তি নাই বলিয়া মূক ও গমনোপযোগী পদ নাই বলিয়া খঞ্জ কৃতজ্ঞ হইবে ? যাহারা পৃথিবীতে মহাসৌভাগ্যশালী বলিয়া পরিচিত, তাহারাও রোগশোক প্রভূতির কষ্ট হইতে মুক্ত মহেন । এমন মনুষ্যই জগতে নাই যাহার কিছু না কিছু কষ্ট নাই। যখন ঈশ্বর আমা দিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং অনর্থক আমাদিগকে এইরূপ কষ্ট দিতেছেন, তখন কিসের জন্য আমরা তাহার