পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( জ্ঞানাকুর ফাঁ2, ১২৮২ নিকট কৃতজ্ঞ হইব ? যখন না খাটিলে আমরা খাইতে পাইন তখন তিনি কিরূপে স্থামাদিগকে আহার দিতেছেন ? দুঃখ নিবারণের চেষ্টা করিতেই যখন মানুষের সমুদায় সময় অতিবাহিত হুইয়া যায়, সুখের চেষ্টা করিতে অতি অলপ অবসর থাকে, তখন তিনি কি মুখ দিতেছেন ? কেহ কেহ বলেন এ সকল ঈশ্বরের দোষ নছে, মানবগণে পূৰ্ব্বজমার্জিত কাৰ্য্য ফলে এসকল কষ্টভোগ করে কিন্তু মানবের সমুদয় শক্তিই যখন ঈশ্বর দত্ত তখন ইহজন্মই কি আর পুৰ্ব্বজন্মই কি ? যখন সে দুকৰ্ম্ম করিবে তখন সে ঈশ্বরের নিয়মানুসারে করিবে। যত পূৰ্ব্বে যাও, প্রথম জন্মে সে দুষ্কৰ্ম্ম করিল কেন ? সেবারকার দুষ্কর্মের জন্য দোষী কেন । ঈশ্বর মহাজ্ঞানী। জ্ঞান কীছাকে বলে ? দেখিয়া শুনিয়াই জ্ঞান । বিশ্ব সম্বন্ধে যে যত অধিক জমিয়াছে, সে তত অধিক জ্ঞানী । শিশুরবিশ্বের কিছুই জানেনা, তাহারা নিতান্ত অজ্ঞ। যত বয়োবৃদ্ধি হইতে থাকে, তত অধিক দেখিতে শুনিতে পায়, ততই জ্ঞানী হইতে থাকে। মানবগণ নিতান্ত অম্পায়ু। তাছাদের চাকুস জ্ঞান নিতান্ত অম্প । এজন্য পূর্বে মনুষ্যেরা দেখিয়াশুনিয়া যেসকল জ্ঞান অর্জন করিয়াছেন, সেই সকল লিপিৰদ্ধ বিষয় শিক্ষণ করিয়া অধিক জ্ঞানী মানবতত্ত্ব । ツb"○ হয় । অপরের জীমিত বিষয় জগনণর নামই বিদ্যা শিক্ষা ; ফল বিশ্বের পদার্থ সকলের শক্তি ও কার্য্য জ্ঞাত হওয়া ভিন্ন শিক্ষণ ও জ্ঞান আর কিছুই নহে । ঈশ্বরের জ্ঞান কি ? সকলই তাহার রূত । নিজ কৃত বিষয়ের জ্ঞানের অবশ্যকতা কি ৷ নিজ ক্লভ ভিন্ন আর কিছুই নাই সুতরাং তৎ সম্বন্ধে জ্ঞানও হইতে পারে না । ঈশ্বর মঙ্গলময় । দেখা যাইতেছে সৰ্ব্বত্রেই সমূছ অমঙ্গল বিদ্যমান রহিয়াছে। ব্যাঘ্ৰ মৃগ বধ করিতেছে, সৰ্প ভেক নাশ করিতেছে, কুম্ভীর মৎস্য তাtহার করিতেছে । অধিক কি জীব প্রধান মানবেরাই আপনার পরস্পর নষ্ট হইতেছে। সৰ্ব্বদাই দ্বেষ, হিংসা, জিগীষা, জিঘাংসা প্রভৃতির পরতন্ত্র হইয়া মানবগণ পরম্পর কাছারও ধনপহরণ করিতেছে, কাহলরও দারগ্রহণ করিতেছে, কাহারও প্রাণবধ করিতেছৈ, কাহারও গৃহদগ্ধ করিতেছে । বলেনৃমত্ত হইয়া এক দেশবাসীরা অন্য দেশবাসীকে অধীনে আনিবার নিমিত্ত কত নরহত্যা, কত ধননাশ ও কত মহামু কীৰ্ত্তি সকল নিপাতিত করিতেছে । ইতিহাস পাঠে ইছার অজস্র উদাহরণ পাওয়া যায়। চাফুস প্রত্যক্ষ দ্বারাও অহোরছ অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। এই কি মঙ্গলময় ঈশ্বরের কার্য্য ?