পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8"לכל ঈশ্বরের কৌশল সকল অতি চমৎকরে । সুকৌশল কাহাকে বলে ? যে কৌশল অবলম্বন করিলে সকল দিকেই ভাল হয়, কোন প্রকারেই মন্দ হয় না, তাহাকেই সুকৌশল বলিতে হয়। ঈশ্বরের কোন ফৌশল বা কোন নিয়ম দোষ শূন্য ? তাহার কৌশল মাত্রেই দোষের ভাগ অধিক ভিন্ন অলপ নহে । আমাদিগের প্রাণরক্ষণর নিমিত্ত যে কৌশল অবলম্বন করিয়াছেন অর্থাৎ যে ক্ষুধা দিয়াছেন সেই ক্ষুধাই আমাদিগের রোগ মৃত্যুর কারণ । আহারে যেমন সুখ, অনাহারে তাছা হইতেও অধিক কষ্ট । আবার কুদ্রব্য বা অতিরিক্ত ভোজনে পীড়া জন্মে। আমাদিগকে সংসারে অসক্ত করিবার জন্য স্নেহ ও প্রণয় দিয়াছেন, কিন্তু তাছাই আবার বৈরাগ্যের কারণ। প্রণয়ী বা স্বেহাস্পদের মিলনে যে মুখ, তাছাদের বিরহে তাছা হইতে অধিক দুঃখ । পুত্র জন্মিলে যত সুখ না হয়, মরিলে তপস্থা হইতে অনেক পরিমাণে দুঃখ হয়। যে জল, বায়ু, আতপ ব্যতিরেকে আমাদিগের জীবন রক্ষা হয় না, তাহারাই আমাদের পরমশক্র । এইরূপে দেখা যায়, ঈশ্বরের কৌশল মাত্রই দোষ যুক্ত। এমন কোঁশলই দৃষ্ট হয় না, যাছা দোষস্পর্শশুন্য। তবে তাছাকে কিরূপ সুকৌশলী বলা যায় ? মানবতত্ত্ব । জ্ঞানাঙ্কর ফাঃ, ১২৮২) আশ্চৰ্য্য এই যে, যে সকল গুণ | ঈশ্বরে আরোপ করা হইয়াছে, তাহ- { র বিন্ধুমাত্র সামঞ্জস্য নাই। এ ঈশ্বর কৰুণাময়, ইচ্ছাময় ও সর্বশক্তিমান। যখন জীবগণ আছেণরহ নানাবিধ কষ্ট পাইতেছে, তখন র্তাহাকে, কিরূপে কৰুণাময় বলা যায় ? যখন ভিনি ইচ্ছাময় ও সর্বশক্তিমান অথাৎ যাছা ইচ্ছা ভাহা তিনি করিতে পারেন, তখন মনে করিলে জীবগণ ষাছাতে দুঃখ না পায় তাহা করিতে পারিতেন । তাছা যখন করেন নাই, उशन इश उँीशरक निर्पूछ, न इञ्च অক্ষম বলিতে হইবে । কিছুতেই তিনি এই উভয়গুণের অধিকারী হইতে পারেন না । ঈশ্বর ত্রিকালজ্ঞ ও শুভাশুভ ফলদাতা । যখন ভবিষ্যত বিষয়ে ঈশ্বরের জ্ঞান আছে, তখন যাহা ঘটিবে, তাছা নিশ্চিত । নিশ্চয়তা না থাকিলে তৎসম্বন্ধে জ্ঞান হইতে পারেন । কল্য হরি, রামকে মারিবে কিনা তাহার যদি নিশ্চয়ত না থাকে তবে তৎসম্বন্ধে ঈশ্বরের ভবিষ্যৎ জ্ঞান হইতে পারে না, সুতরাং তাছাকে ত্রিকালজ্ঞ বলা যায় না। র্তাহাকে ত্রিকালজ্ঞ বলিতে হইলে, হরি রামকে ছয় মারিবে না হয় মারিবে না, ইছার একটা নিশ্চম থাকা চাই। ঘটনাবলীর এরূপ নিশ্চয়তা থাকিলে মনুষ্য তাছার অন্যথা করিতে পারেনা। যাহা