পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৬

জ্ঞfনfকুর ফাঁ:, ১২৮২) ঘটিবে, তাহা ঘটিবেই। ঈশ্বর তাহা জানিতেছেন, তদ্বিপরীতে মনুষ্যের সহস্ৰখচষ্টা বিফল ; সুতরাং মনুষ্য । শুভাশুভফলের অধিকারী নয় । কণজেই ঈশ্বর যদি ত্রিকালজ্ঞ হন তবে | শুভাশুভ ফলদাতা নছেন। যদি শুভা- | শুভ ফলদাতা হয়েন, অর্থাৎ কাৰ্য । মাত্রেই যদি মনুষ্যের স্বাধীনতা থাকে, তাহার চেষ্টায় শুভ বা অশুভ হইতে পারে, তাছা হইলে তিনি ত্রিকালজ্ঞ নছেন । কেননা যাহা ভবিষ্যতে ঘটিবে, তাহা মনুষ্যের ক্ষমতাধীন। মনুষ্য কি করিবে, তাহার নিশ্চয়ভ। নাই, সুতরাং তৎসম্বন্ধে তাহার ভবিষ্যৎ জ্ঞান ও নাই। ঈশ্বর নিৰ্ব্বিকার অথচ উপাসনা প্রিয় । যাহার বিকার নাই, তিনি কিছুতেই ৰুষ্ট বা হন না । সুতরাং তাছাকে উপাসন। প্রিয় বলা যায় না। যদি তিনি উপাসনা করিলে তুষ্ট ও না করিলে ৰুষ্ট হন তবে তাহাকে কিরূপে নিৰ্ব্বিকার বলা যায় ? তাছাকে নিৰ্ব্বিকার বলিতে হইলে শুভাশুভ ফলদাতা ও কতজ্ঞতাপ্রিয় বলা যায় না । ঈশ্বর ৭ সমদৰ্শী, অথচ ভক্তবৎসল ও অনাথ বন্ধু । ভক্তবৎসল বলিলে অভক্তকে ভাল বাসেন না বুঝায় এবং অনাথ বন্ধু বলিলে সনাথের বন্ধু নহেন বুঝায় ; তবে তাহাকে কি রূপে সমদশী বলা যায় ; তিনি সমদশী অর্থাৎ ૨8 মানবতত্ত্ব | ጏby6: সৰ্ব্বজীবে সমান দয়া । তবে বিশ্বে এত প্রভেদ কেন ? কেহ নর, কেছ কীট কেন ? কেহ রাজা কেছ প্রজ কেন ? কেহ ধনী কেহ নির্ধন কেন ? ৷ কেহ বলবান, কেহ দুৰ্ব্বল কেন ? : কেহ বুদ্ধিমান, কেহ নিৰ্ব্বেধ কেন ? কেছ রূপবান্‌, কেহ কদাকার কেন ? যদি বল মনুষ্যের স্বীয় কাৰ্য্য দোষে ; ভাহা হইলে মনুষ্যকে স্বাধীন বলিনে হয়, সুতরাং ঈশ্বর ত্রিকালজ্ঞ নহুেম এবং ঐ স্বাধীনতা যদি ঈশ্বরদত্ত ছয, যদি সকলকে সমান রূপ বল, বুদ্ধি, শক্তি, স্বাধীনতা সম পরিমাণে দিয়া থাকেন, তবে সকলে সমান হয় ন৷ কেন ? যদি ভিন্ন পরিমাণে দিয়া থাকেন, তবে তাহার হামদর্শীত্ব কোথায় ? t এই সকল বিবেচনা করিলে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, ঈশ্বর মানবের মনঃকণিপত । বিশেষ কণিপত না ছইলে, মানবে নাই, অস্তুতঃ এমত একটা গুণও র্তাহাতে লক্ষিত হইত। পূৰ্ব্বে সপ্রমাণ হইয়াছে, বিশ্ব অনাদি অনন্ত । সুতরাং তাহার সৃষ্টিকর্তা নাই । তবে যদি বিশ্বের সম্বন্ধ রহিত ঈশ্বর স্বীকার করিতে চাও, ক্ষতি নাই, অবশ্যকও নাই, প্রমাণও নাই । যদি থাকেন, তাছার সহিত আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। তিনিও স্বতন্ত্র আমরাও স্বতন্ত্র । বিশ্ব শক্তিকে