পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর ফtঃ, ১২৮২) প্রণয়ী যুগল আপনাদের অনাগত জীবনের কি ব্যবস্থা করিড়েছেন শুনি গিয়া চলুন । বিমলার সেই প্রকোষ্ঠ । বিমলা সেই খটীয় উপবিষ্টা । যোগেশ দাড়াইয়া । উভয়ের দক্ষিণ হস্ত পরস্পর নিবদ্ধ। নিবদ্ধ হস্ত যুগলেয়ু উপর বিমলার বদন মণ্ডল । বিমলার নেত্র নিঃস্থত অশ্রুবারি হস্ত বহিয়া র্তাহারই বস্ত্রে পড়িতেছে। বিমলা কঁদিতেছেন। বহুক্ষণ পরে যোগেশ কহিলেন – “বিমলা ! আমার যাহাতে ভাল হয় তৎপ্রতি কি আমার দৃষ্টি নাই । স্বীয় শুভাশুভ সম্বন্ধে আমি কি অন্ধ ?” বিমলা সেইরূপ ভাবেই বলিলেন,— “আমি তা বলিতেছি না । তোমার বুদ্ধি আমার অপেক্ষা সহঅগুণ ভাল । তবে অামি এই জানি যে ভাল বাসায়, মনুষ্যকে অন্ধ করে। তুমি আমাকে অপরিমিত ভাল বাস । হয়ত সেই ভাল বাসাই তোমাকে স্বীয় শুভাশুভ সম্বন্ধে অন্ধ করিতেছে। যো: গেশ ! তুমি অগ্র পশ্চাৎ ভাবিয়া দেখ।” যোগেশ বলিলেন, “আমি কয়দিন সমস্ত ভাবিয়া দেপিয়াছি। বুঝিয়াছি তোমা ছাড়া হইয়া রাজপদও আমার পক্ষে অতিশয় অসুখ ও বিষাদময়।” . বিমল | >bo o অতি দুঃখে সুখ । রোদনে হাসি । বিষাদে আনন্দ । বিমলা রোদন পরায়ণা ছিলেন ; সহসা তাহার অপর প্রান্তে ঈষৎ হাসি দেখা দিল । কহিলেন,— “অমিত ঐ জন্যই বলিড়েছিলাম যে, ভাল বাসায় মনুষ্যকে স্বীয় শুভাশুভ সম্বন্ধে অন্ধ করে । ভাল বাসাই তোমাকে অন্ধ করিতেছে।" যোগেশের মূৰ্ত্তি গম্ভীর হইল । তিনি কছিলেন, “বিমলা ! তবে ডোমার মত কি ? তুমি কি বল, এত প্রণয়, এত আশা, এত ভরসা সমস্তই লয় প্রাপ্ত হউক। স্নেহ মমভা শূন্যে মিশাইয়া যাক ৷” বিমলা নীরব । যোগেশ ক্ষণেক পরে পুনরায় কহিলেন,-— “যদি তোমার তাছাই অভিপ্রণয় হয়—ছউক । তাহাতে আমার আপত্তি নাই । তোমার অভিপ্রণয়ের বিরোধী কার্য্য কর। আমার কদ। চ ইচ্ছা নহে। কিন্তু তোমাকেই অনুরোধ করি, তুমিই বল দেখি তাছা কি সম্ভব ?” বিমলা বলিলেন,— “উপায় কি ? যোগেশ ! উপায় কি ?” যোগেশ বিমগ্ন হাস্য সহকারে কছিলেন,— আর