পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞbrb" “কি আশ্চৰ্য্য কথা উপায় নাই বলিয়া অসম্ভব ব্যাপারের অনুষ্ঠান করা বাতুলের কার্য্য। আর কেনই বা উপায় নাই বিমলা ? আমি তো মণকে বলিতেছি, বিবাহ হইলে আমার কোনই বিপদ হইবে না ।" বিমলা বিপন্ন স্বরে দৃষ্টি সহকারে কছিলেন, “না না যোগেশ ! তুমি ও কথা বলিও না । আমি বিশেষ শুনিয়াছি, এ হতভাগিনীর সহিত বিবাহ হইলে তোমাকে আজীবন কষ্ট পাইতে হুইবে ।” যোগেশ বলিলেন,— “আবার সেই কথা । তবে তোমার পরামর্শ মতে সমস্ত বিস্মত श्७चiशे ८ऽंश्च६ ??? বিমলা বিনতমস্তকে বলিলেন,— “ত পার না কি ?” যোগেশ জিজ্ঞাসিলেন,— “তুমি পার ?” মৃদু সলজ স্বরে বিমল উত্তরি লেল,— “নযোগেশ প্রেমাঞ্জ পরিপ্লুত নেত্র হইয়া কছিলেন,— “বিমলা ! তুমি যাহা বিস্মৃত হইতে পার না, আমি যে ভাষা বিস্মৃত হইতে পারিব ইছার কারণ কি ?” বিমলা পূৰ্ব্ববৎ ভাবে কছিলেন,— ও নিরণশ বিমল । (জ্ঞানীকুর ফাঃ, ১২৮২ “তুমি পুৰুষ ।” যোগেশ কহিলেন, — “কোমল কমনীয় কামিনী/হৃদয় যাহা সছ করিতে পারে না, পুৰুষে অপেক্ষারত ধৈৰ্য্য ও সহিষ্ণুতা বলে তাছা সহিতে পারে একথা আমি স্বীকার করি । কিন্তু এরূপ অবস্থাপন্ন প্রণয় বিস্মৃত হওয়া মনুষ্য সাথ্যের অতীত। যাহা জীবনের সহিত গ্রথিত হইয়া গিয়াছে, দেহের অস্থি মঞ্জীর সহিত ষাহ লিমিশ্রিত হুইয়ছে, শরীরের প্রত্যেক ধমনীতে রক্তের সহিত যাহা বিচলিত হইতেছে এরূপ অতি অমূল্য প্রণয়ের কথা বিস্মৃত হওয়া কদাচ মনুষ্যের সাধ্য নহে । মনুষ্যের সাধ্য হইলে ও কদণচ আমার সাধ্য নহে । জ্বলন্ত পাবকে সহস্ত্যে প্রবেশ করা যায়, অতিপ্রিয় জীবন অনায়াসে ত্যাগ করা যায়, গরল উদগারী সপকে স্বেচ্ছায় চুম্বন করা যায়, তথাপি তোমাকে কদাচ বিস্মৃত হওয়া যায় না। বিমলা তোমাকে বিস্মৃত হওয়া আমার সাধ্যাভীত । তোমার কোনূ দিনের কোম্ কথাটা ভুলিব বিমলা ? তোমার আশৈশব জীবনের সমস্ত ব্যাপার যেন অধুনা আমি চিত্রিত পটের ন্যায় সম্মুখে দৰ্শন করিতেছি, সে সমস্ত কি মধুর, কি সরল, কি আনন্দবিধায়ক । বিমলা, তোমার মনে পড়ে