পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( জানাকুর ফাঃ, ১২৮২ কি না বলিতে পারি না—সেই একদিন তুমি “মেঘনাদবধ কাব্য" অধ্যয়ন ইঞ্জিতেছিলে। তখন তোমার বয়স নয় বৎসর আমি তোমাকে বুঝাইয়া দিতেছিলাম। অশোককাননে সীতা ও সরম কথোপকথন করিতেছিলেন। স্থানটী গ্রন্থমধ্যে অতি মনোরম ৷ আমি অতি অনুরাগের সছিত ভোমণকে তাহা বুঝাইতেছিলাম। তুমি অনেকক্ষণাবধি এক মনে আমার অধ্যয়ন ও ব্যাখ্য' শ্রবণ করিলে। কিন্তু বালিকার চঞ্চল চিত্ত এক বিষয়ে বহুক্ষণ সংযত থকা সম্ভাবিত নছে। তুমি অন্যমনস্ক হইলে । নিকটে কাচি ও কাগজ ছিল । তুমি কাচি দিয়া কাগজে কুল কাটিতে লাগিলে । আমি হস্তস্থিত মেঘনাদ বন্ধ করিয়া তোমার নবনীত নিভ চিবুকে সাদরে একটা আঘাত করিলাম ! তুমি প্রথমে হা হা শব্দে হাসিয়া উঠিলে। পর ক্ষণেই বলিলে “যোগেশ তুমি আমণকে আঘাত করিলে আমিও তোমাকে অণঘাত করিব।” অামি হাসিলাম, তুমি মারিমার জন্য হাত উঠাইলে । আমি তোমার হাত ধরিলাম। তুমি অপর হস্তে মনোরথ সিদ্ধির চেষ্টা করিলে। আমি সে হস্তও ধরিলাম। তুমি হস্তদ্বয় উন্মুক্ত করিবার নিমিত্ত ষথেষ্ট প্রয়াস পাইলে, পারিলে না। আমি ছাসিলাম । তোমার বদন কমল বিমল ।

yఫి

গম্ভীর ভাব ধারণ করিল। তুমি অপ্রভিভ হইয়া বলিলে “আমার এক অনু রোধ শুনিতে হইবে ।’ আমি বলি লাম “কি অনুরোধ বল।” তুমি বলি লে “হাত ছাড়িয়া দেও, আমি মারিব ।” আমি উচ্চ হাস্য হাসিলাম, তোমার পবিত্র মুখের পবিত্ৰ ভাব, অসীম সরলতা ও বালিক ভাব দেখিয় । মুগ্ধ হইলাম । বলিলাম—“মার। ’ হস্ত ছাড়িয়া দিলাম। তুমি মারিবার জন্য হস্তোত্তোলন করিলে কিন্তু মারিতে পারিলে না। হাসিয়া আমার বক্ষ মধ্যে বদন লুকাইলে। কি মধুর ! কি পবিত্ৰ ! জীবন যাইলেও কি এ সমস্ত কথা বিস্মৃত হওয়া সম্ভব ? বিমলা তুমি পাগলিনী ।” • বিমলা যেন কিছু লজ্জিত ভাবে বলিলেন,— “তোমার এতও মনে থাকে ?” যোগেশ বলিলেন,— “একি ভুলিবার কথা ? আরও বলি শুন ।” বিমলা বলিলেন,— * “ন), আর বলিয়া কাজ নাই । ও সকল বলিয়া কি সুখ ?” যোগেশ বলিলেন,— ‘ও সকল কথায় বিশেষ সুখ আছে, ও সকল স্মরণে যথেষ্ট আনন্দ আছে।” বিমলা নীরব হইলেন। যোগেশ বলিতে লাগিলেন,—