পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>試? “আণর এক দিনের কথা বলি শুন বিমলা । তখন আমি রামনগরে পড়ি । গ্রীষ্মকালের পর যখন বাট হইতে রামনগর যাই তখন তুমি মধ্যে মধ্যে পত্র লিখিবর জন্ত বলিয়া ছিলে । পড়া শুনার ব্যস্ততায় দুই সপ্তাহ তোমাকে পত্র লিখিতে পরিলাম না । দুই সপ্তাহ পরে বড় মন খারাপ হইয়া উঠিল ।—সম্বাদ পাইলাম, তোমার যার পর নাই পীড়া হইয়াছে। ব্যস্ত হইয়া যেখানকার পুস্তক সেই খানেই রাখিয়া বাট চলিয়া আসিলাম । দেখিলাম রোগে তোমার দুলু ঢুলু বদন বিশুস্ক হইয়া গিয়াছে । তোমার সোনার অঙ্গ কালী হুইয়া গিয়াছে । তোমার জীবন সংশয়াপন্ন হুইয়া য়াছে।”— বিমলা মধ্যস্থলে বাধা দিয়া কহি লেম,---

    • তখন যদি মরিতাম---??

যোগেশ সে কথায় কর্ণপণত ন; করিয়াই কহিলেন,— “যথাসম্ভব চিকিৎসা হইতেছে কিন্তু কোনই উপকার হইতেছে না ।" আমি অতি কষ্টে মনকে দৃঢ় করিয়া তোমার ক্লেশ নিপীড়িত শয্যা পাশ্বে উপবেশন করিলাম । তুমি নয়নোম্মীলম করিয়া আমার প্রতি চাহিলে, চাছিয়াই কছিলে, ‘ছি ! তুমি মিথ্যাবাদী ? ' অমনি তোমার নয়ন নিমী বিমল | জ্ঞানাকুর কাঃ, ১২৮২) লিত হইল, অৰ্দ্ধ ঘণ্টা কাল আর তুমি চক্ষু মেলিলে না। লোকে ভাবিল, তোমার প্রলাপ /র্জারম্ভ হইল। কিন্তু আমি বাক্যের যাথার্থ্য বুঝিলাম। ভাবিলাম আমিই কি ভবে বিমলার ব্যাধির কারণ ? নেত্ৰ দিয় দরদরিত ধারায় অশ্রুবারি প্রবাহিত হইতে লাগিল। তোমার শয্যা পাশ্বে বসিয়া বসনে বদনাৰ্বত করিয়া রোদন করিতে লাগিলাম। অৰ্দ্ধ ঘণ্টা কাল পরে তুমি নয়ন উন্মীলন করিয়া দেখিলে আমি সমভাবে বসিয়া কাদিতেছি। তুমি বলিলে “যোগেশ ! কাদিও না। আমি কঠিন কথা বলিয়াছি । তুমি বলিয়া বলিয়াছি। অন্য হইলে বলিতাম না। আমার পীড়া অনেক উপশম হইয়াছে।” এই বলিয়া তুমি হাসিলে। তোমার বদনে স্বাস্থ্যের চিহ্ন সমস্ত প্রদীপ্ত হইল। আমি রোদন সম্বরণ করিলাম । চিকিৎসক আসিয়া তোমাকে পরীক্ষা করিয়া বলিলেন, “অৰ্দ্ধাধিক রোগ সারিয়াছে।” ঔষধ ব্যবস্থা হইল। আমি তোমাকে ঔষধ খাওয়াইতে গেলাম, তুমি হাসিয়া সমস্ত ঔষধ আমার বস্ত্রে কেলিয়া দিলে। বলিলে,—“ঔষধ যথেষ্ট হইয়াছে।" প্রত্যুত দুই দিনে তোমার রোগ সারিয়া গেল । কি আশচর্য্য প্রণয় ! কি পবিত্র, নিৰ্ম্মল নিষ্কলঙ্ক স্বভাব ! তুমি এই সকল