পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কর চৈঃ, ১২৮২) মশন বতত্ত্ব । মানবতত্ত্ব ততীয় পরিচ্ছেদ । সৃষ্টি । বিশ্ব অনাদি অনন্ত । তাহার সৃষ্টিকর্তা নাই । তবে কি বিশ্বের চিরকাল সমান অবস্থা ? এক্ষণে বিশ্বের যে অবস্থা, পূৰ্ব্বে চিরকালই কি এইরূপ অবস্থা ছিল এবং ভবিষ্যতে অনন্ত কাল এইরূপ অবস্থা থাকিবে ? তাহ নছে। কেন না আমরা দেখিতে পাইতেছি, পৃথিবীর কোন পদার্থ চিরকাল এক অবস্থায় থাকে না । দেখিতেছি, সমভূমি পৰ্ব্বত হইতেছে ; পৰ্ব্বত সমভূমি হইতেছে ; অরণ্য মৰুভূমি ও মৰুভূমি অরণ্য হইতেছে ; জল স্থল ও স্থল জল হইতেছে ; পূৰ্ব্বে যে খানে প্রকাও নগরী ছিল, এক্ষণে ভান্থ জন সমাগম শূন্য ; পূৰ্ব্বে যে স্থলে মনুষ্য গমন করিতেও পারে নাই, এক্ষণে তাছা মহা-সমৃদ্ধি-শালী নগর ; যে আর্য্যজুতি পূৰ্ব্বকালে পৃথিবীর সৰ্ব্বোমত সুসভ্য ছিল, এক্ষণে ভাহারা মিতান্ত হীন দশাপন্ন ; যে ইংরেজের কিছু দিন পূর্বে আম মাংস ভোজী ও নিতান্ত অসভ্য ছিল, এক্ষণে তাছারা পৃথিবীর মধ্যে মহা পরাক্রান্ত ও সুসভ্য হইয়াছে । এইরূপে দেখা যায় পৃথিবীর কোন বস্তুটি একভাবে থাকে না । অধিক কি একশত বৎসর

পূর্বে ষে সকল মানব এই পৃথিবীতে. ૨૪ ছিল, তাহার একজনও এক্ষণে বৰ্ত্তমাম নাই, এবং এক্ষণে যে শতাধিক কোটা মানব বর্তমান আছে, শতবর্ষ পরে তাহার একজনও থাকিবে না। যেমন সমুদায় মনুষ্যেরই মৃত্যু হইতেছে, স্ট্রথচ মানবের লোপ হইতেছে না, সেইরূপ বিশ্বের সমুদায় পদার্থেরই ধ্বংস হইতেছে, অথচ বিশ্বের লোপ হইতেছে না । যেমন মানবের জন্ম মৃত্যু আছে, সেইরূপ বিশ্বের সমুদায় পদার্থের উৎপত্তি ও নাশ আছে। উৎপত্তি ও নাশ অবস্থান্তর ভিন্ন আর কিছুই নয় । অনাদি অনন্ত বিশ্ব প্রতি মুহুর্তে নবরূপ ধারণ করিতেছে। এই প্রকাও পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র, স্থৰ্য্য, পূর্বে ইহার কিছুই ছিলনা এবং পরেও ইহার কিছুই থাকিবে না। যেমন আমি ছিলাম না, কিন্তু আমার পিতা ছিলেন, সেইরূপ এই পৃথিবী ছিলনা কিন্তু ইহার উপাদান ছিল । বর্তমান স্থৰ্য্যের পূৰ্ব্বে অন্য স্থৰ্য্য ছিল, বর্তমান গ্ৰহ নক্ষত্রের পূর্বে অদ্য গ্ৰহ নক্ষত্র ছিল । যেমন শক্তবর্ষের মধ্যেই বর্তমান সমুদায় মনুষ্যেরই মৃত্যু হুইবে, অথচ কেহ তাহা বুঝিতে পরিবে না, নিত্য ২। ১ জন করিয়া মরিয়া যাইবে । গ্রহ, নক্ষত্র, পৃথিবী সকলও ঐক্ষপে ক্রমে এক একটা করিয়া লুপ্ত হইবে ও তাছাদের