পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর চৈঃ, ১২ ৮২) হারা বলেন পরমাণু নিত্য, তাছার ধ্বংস নাই । আরও বলেন ৮৬৪ কোটা বৎসরে ব্রহ্মার এক অহোরাত্রি । সেই অহোরাত্র হিসাবে বর্তমান ব্রহ্মার ৬০ বৎসর বয়ঃক্রম হইয়াছে । বর্তমান ব্ৰহ্মার পূৰ্ব্বেও অন্য ব্রহ্মা ছিলেন এবং পরেও অন্য ব্রহ্মা হইবেন । সুতরাং তাহারণ বিশ্বের অনাদি অনস্তত্ব স্বীকার করিয়াছেন । যাহাকে আর্য্যের পঞ্চভূত ও আধুনিক ইয়ুরোপীয় পণ্ডিতেরা ৬৬ ভূত বলিতেছেন, তাহাই প্রকৃত বিশ্ব । তাহার মানবতত্ত্ব । ›፭ « চতুর্থ পরিচ্ছেদ । মানব । পূর্বে বলা হুইল বাঙ্গকণা হইতে মানব পৰ্য্যন্ত সমুদায়ই এক উপাদানে উৎপন্ন কিন্তু আমরা দেখিতেছি মানব অতি শ্রেষ্ঠ প্রাণী । গ্রহ, নক্ষত্র, কুর্ঘ্য প্রভৃতির সংবাদ আমরা জানিনা, তথায় শ্রেষ্ঠতর জীব থাকিলেও থাকিতে পারে কিন্তু পৃথিবী মধ্যে মানবই সৰ্ব্ব প্রধান। মানবের শক্তি অতি অদ্ভুত যে সকল কাৰ্য্য মানবে সম্পন্ন করিতেছে, তাহা চিন্তু করিলে ও আশ্চর্য হইতে হ্রাস বুদ্ধি ক্ষয় নাই, কিন্তু সংযোগ ও | হয়। যদি জন্ম মৃত্যু মানবের ইচ্ছাধীন বিয়োগে নানাবিধ পদার্থ জন্মিতেছে। | হুইত, তাছা হইলে তাছাকে এই পৃথিঐ ভূতের মিলনে জল, বায়ু, প্রস্তর, বীর হর্তা কৰ্ত্তা বিধাতা বলা যাইতে মৃত্তিকা, এহ, স্বৰ্য্য, নক্ষত্ৰ, পৃথিবী, পারিত। মানবের যে শক্তি আছে, কীট, পতঙ্গ, পশু, পক্ষী, তাপ, তড়িৎ, আলোক, মেঘ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের উৎপত্তি হইতেছে । যেমন মিলনের প্রকার ভেদে পারদ ও গন্ধক হইতে কৰ্জলি, হিস্কুল ও পটপটি হইতেছে, সেইরূপ ঐ সকল ভৌতিক পদার্থের সংযোগে ভিন্ন ২ পদার্থের উৎপত্তি তাহার কোট অংশের একাংশ শক্তি অপর জীবে বা পদার্থে নাই, তবে কি প্রকারে বলা যায় যে, অপর পদার্থ সমূহের সহিত মানব এক উপাদানে নিৰ্ম্মিত ? এই সংশয় দূরীকরণ করিবার জন্য অনেকে আত্মা নামক চেতন পদার্থের কম্পনা করিয়াছেন । র্তাহার। - 히 হইতেছে । বাস্পকণা হইতে মানব বলেন ঐ আত্মার শক্তিতে মানবগণ পর্যন্ত সমুদায়েরই উপাদান এক । যদিও বিশ্ব অনাদি অনন্ত, কিন্তু পৃথিবীর স্থষ্টি ও লয় আছে। গমন করে, চিন্তু করে, কার্য্য করে ; আত্মা ভিন্ন অন্য কোন পদার্থের | চেষ্টা করিবার শক্তি নাই। জড় পদার্থ নিশ্চেষ্ট, জড় হইতে মনুষ্য যে সকল গুণে শ্রেষ্ঠ, তৎসমুদায়ই আত্মার • | শক্তি। র্তাহীদের মুক্তি অনুসারে