পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কর চৈ৪, ১২ ৮২) নামান্তর অনুরাগ। প্রণয়, স্নেহ ও ভক্তি সমুদায়ই অাকর্ষণ মুলক। বিপ্রকর্ষণের নামান্তর বৈরাগ্য । ভয়, ঘৃণা প্রভৃতি বিপ্রকর্ষণ মূলক । সাধারণতঃ স্ত্রী পুৰুষে পরস্পর আকর্ষণ আছে । আবার তন্মধ্যে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মধ্যে অধিকতর আকর্ষণ আছে । তাহাদিগের পরস্পর সাক্ষগত হুইলেই অকত্রিম প্রণয় জন্মে । এই জন্য প্রণয়ের পাত্রাপত্ৰ নাই। এই জন্যই অতি কুৎসিতা রমণীর সহিত মুন্দর পুৰুষের ও পরম সুন্দরী রমণীর সহিত কদাকার পুরুষের প্রণয় জন্মে। এই কারণেই যে যাহাকে ভাল বাসে, তাহার মন্দ গুলিও ভাল দেখে । এই জন্যই অনেকে প্রিয়দর্শন হইয় থাকে । যাহার দেহে বিপ্রকর্ষক পদার্থ অধিক আছে, তাহাকে দেখিলেই বিরক্তি জন্মে । তাছার সহস্ৰ গুণ থাকিলেং3, | শক্তি কোথায় যাইবে ? এইজন্য বুদ্ধি তাহা দোষ বলিয়া গণ্য হয় । মানব যে এত ভিন্নরূপ দৃষ্ট হয়, উপাদানের মুনাধিক্যই তাহার প্রধান কারণ। ষে মানব দেহে আকর্ষণকারী পদার্থ অধিক আছে, সে অধিক প্রণয়ী হয়, সকলে ভগছাকে ভাল বাসে এবং স কলকে সে ভালবাসে । যাহার দেহে বিপ্রকর্ষণ শক্তি অধিক, সংসারে তাহার আমুরক্তি থাকে না, সে সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে । যে দেহে তাপ অধিক, সে অধিক ভেজী হয়। বা মানবতত্ত্ব । ఫి 3 : হাতে তাপ অলপ সে বিনয়ী হয়। এই রূপে যে শরীরে যে গুণের উপকরণ অধিক, সে শরীরে সেইগুণ অধিক দৃষ্ট হয়। বুদ্ধি, মেধা, স্মৃতি, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসৰ্য্য, ੋਡ মানবীয় গুণমাত্রই পদার্থের শক্তি বিশেষ। যে গুণের উপকরণ যে শরীরে যত অধিক আছে, সেই শরীর সেইগুণে তত অধিক ভূষিত হুইবে, কিছুতেই তাহার অন্যথা হইবে না । এই জন্যই বলিয়া থাকে, “অসার শত ধোঁতেন মলিনত্বং ন যায়তে"। এই জন্যই বলিয়া থাকে, “স্বভাব যায় মলে ।” যেমন চুম্বকের লোহাকর্ষণ শক্তি, অগ্নির উষ্ণত্ব কিছুতেই যাইবার নহে, সেইরূপ মানবের স্বভাবও চিরকাল অটল থাকে । উপকরণ হইতে দেহ গঠিত, তাহার ষে মানূ নিৰ্ব্বোধ হয় না, নিৰ্ব্বোধ বুদ্ধিমান হয় না ; সাধু অসাধু হয় না, ,অসাধু সাধু হয় না। যাহার যে শক্তি, তাহার অন্যথা কিছুতেই হয় না। তবে যদি কোন ক্রমে বিপরীত গুণসম্পন্ন পদার্থ দেহে প্রবেশ করে, তাহার গুণে জন্ম স্বভাব পরিবর্তিত হইতে পারে। সময়ে,২ তাছা হইয়াও থাকে। আহারীয় পরিবর্তন, স্থান পরিবর্তন বা রোগাদি দ্বারা সময়ে ২