পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د ه چ এরূপ ঘটিয়া থাকে । ফল, দেছে যে পদার্থ থাকে, তাহার শক্তি প্রকাশ অবশ্যই করিবে । তবে কি শিক্ষার কোন ফল নাই ? অাছে । শানিত হইলে লৌহস্ত যেমন তীক্ষ হয়, বিনা ব্যবহারে তাহা যেমন অণবীর অকশ্মণ্য হুইয়া যায়, শিক্ষণ দ্বারা ও সেইরূপ হুইয়া থাকে। কিন্তু যাহার যাহা নাই, শিক্ষা দ্বারা ভাছা হইতে পারে না। কাষ্ঠ শানিত হইলে যদিও অপেক্ষারুত উক্ষ ধার হয়, কিন্তু কখনও লোঁহের তুল্য হইতে পারে না। দিগগজ পণ্ডিত সহস্ৰ বৎসর শিক্ষা করিলেও রঘুনাথ শিরোমণির ন্যায় হইতে পরিবে না । কালিদাস যদি বিদ্যাশিক্ষা না করিভেন, তথাপি কবি হইতেন । তবে এত উৎকৃষ্ট হইতে পারিতেন না । রামবসু, ছৰুঠাকুর, মধুকাণ, দাশরথি রায় শিক্ষা না করিয়াও কবি । শিক্ষিত হইলে তঁtহাদের কবিতা অধিক মার্জিত হইত মাত্র । যুধিষ্ঠির ও সক্রেটিস্ শিক্ষা না করি লেও সাধু হইতেন ; ভীষ্ম, অৰ্জুন, শিক্ষিত না হইলেও বীর হইতেন এবং বিশ্বামিত্র শিক্ষিত না হইলেও যোগী হইতেন। শিক্ষার গুণ এই যে, যাহার যাহা আছে, শিক্ষা দ্বারা তাছার উৎকর্ষতা প্রাপ্ত হয়। যাহার যাহা নাই, শিক্ষা তাহা দিতে পারে না । এই জন্য প্রাকৃতিক কার্যের মানবতত্ত্ব | (জ্ঞান কুর চৈ৪, ১২৮২ এত প্রশংসা। প্রাকৃতিক কবি যাহা বলেন, তাহাই মিষ্ট লাগে, প্রাকৃতিক প্রেমের সমুদায়ই সুন্দর, প্রাকৃতিক বীরের অদ্ভুত বীরত্ব, প্রাকৃতিক স্বরের এত মনোহারিত্ব ও প্রাকৃতিক রূপের এত সৌন্দর্য্য। যাহার হৃদয়ে কৰুণা আছে, তাহার ভাব অতি মধুর ; যাহার ধৈর্য্য আছে, সে মহা বিপদেও অটল এবং যাহার বিবেক আছে, সে কিছুতেই কুকৰ্ম্মশালী ছয় ন । শিক্ষণ দ্বারা যে গুণের উৎপাদন হয়, তাছার কখনও এত মনোহারিত্ব ও এত দৃঢ়তা থাকে না। পৃথিবীতে যত যন্ত্র অাছে, তন্মধ্যে মানব যন্ত্রই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । ইহাতে যে কত কাৰুকাৰ্য্য, তাহার ইয়ত্তা নাই । সেই সকল যন্ত্রবলে মানব অসাধারণ কাৰ্য্য করিয়া থাকে। অদ্যপি সে সকল যন্ত্রের মৰ্ম্মোদ্ভেদ মানুষে করিতে পারে নাই, কখন যে পরিবে, তাছারও নিশ্চয়তা নাই। বুঝিতে না পারিয়াই মানব স্বতন্ত্র চেতন আত্মার কম্পনা করিয়াছে, বিশেষ অনুধাবন করিয়! দেখিলেই বুঝা যাইবে যে, সকলই ভূতের ব্যাপার। সমুদায়ই জড়ের কার্য্য । মানবের মধ্যে যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট, তাহা হইতে নিকৃষ্ট উদ্ভিদ পর্যন্ত অভিনিবেশ সহকারে করিলে স্পষ্টই বুঝা যাইবে যে, প্রভেদ পরস্পর অতি অল্প। স্থল