পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একথা বৃদ্ধ ছিন্দু মাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেন। যে অংশ উচ্চ, তাছাই বৃক্ষ লতাদি পরিপূর্ণ স্থল ; আর যাহা নীচ, তাহা জলপূর্ণ সমুদ্র । “সমন্তাজ্জলবেষ্টিভং ” । চতুর্দিকে জল—তন্মধ্যে পৃথিবী নামক স্থল থকাতে ইহার মানচিত্ৰ দেখিলে জ্ঞান হয় পৃথিবী যেন এক সুবিস্তীর্ণ জল শয্যায় শয়ন করিয়া আছে । বিদেশীয় ভূ-তত্বজ্ঞেরাও এই রূপ বলিয়া থাকেন ; পরন্তু তাহারা আরও কিছু বিশেষ বলিয়া থাকেন । র্তাহার বলেন “ পৃথিবীর উচ্ছিত ভাগ অপেক্ষ নিম্নভাগের অধিক্য প্রযুক্ত স্থল অপেক্ষা জল ভাগই অধিক। এমন কি সমুদায় পৃথিবীর ১০ ভাগের ৭ভাগ জল ; অবশিষ্ট (তিন ভাগ ) স্থল ৷ ”*

  • পৃথিবীর পরিমাণ জানিবার ইচ্ছা হুইলে মাপদণ্ড হস্তে করিয়া ভ্রমণকরিতে হয় না । স্বর্য্যের গতি (মত বিশেষে পৃথিবীর গতি ) পরিচ্ছেদ করিলেই পৃথিবীর পরিমাণ স্থির হয়। পূৰ্ব্বতন

আর্স্যেরাও এতদনুসারে পৃথিবীর পরিমণি ফল স্থির করিয়াছিলেন । স্থৰ্য্য ত্ৰিং আর্যজাতির ভুরত্তান্ত । শৎ মুহূৰ্ত্তের মধ্যে পৃথিবীর সর্বদিকৃ । ভ্রমণ করেন । এতদনুসারে “ত্রিংশদ্ভাগন্তু মেদিন মুহুর্তেন স গচ্ছতি”। এক মুহুর্তে পৃথিবীর ৩০ ভাগের ১ ভাগ গতি হয়। ৪৮ মিনিটে এক মুহুৰ্ত্ত হয়। যদি জানিতে ইচ্ছ। ছয় যে কলিকাতা ছইতে জব্বলপুর কত দূর ? ৩০ মিনিটের স্বর্য্যগতি সঙ্কলন করিলেই জানাযায় যে, জব্বলপুর গু কলিকাতার দূরত্ব পৃথিবীর এত অংশ। এ সকল বর্ণন। ভবিষ্যতে হুইবে । | | | | i (জ্ঞানাকুর δ58, も\br স্থল অপেক্ষ জল ভাগ অধিক, তাহার আর সংশয় নাই । কিন্তু উল্লিখিত ভাগের সহিত বৃদ্ধ ছিন্দুদিগের স্থল পরিমাণ সম্মিলিত হয় না, তাহা মা হইলেও পারে। যে হেতু, বহু পুরাকালের নির্ণয় আর আধুনিক নির্ণয় সমঞ্জসভণব ধারণ করিতে পারে না। বিশেষতঃ সামুদ্রিক ব্যাপার। আজ যে খানে সমুদ্র, ২০ • বৎসরান্তে হয়ত সেখানে মৰুভূমি । বৃদ্ধ দিগের নির্ণয় এই— “ভূমি দশাংশতোনুনি । কম্পিতাহুপিতি চিন্তয়েৎ । । ( ভূতবিবেক) জল অপেক্ষা দশভাগ নু্যন পৃথিবী জলের উপরে পরিকম্পিত । এই নির্ণয় অতি প্রাচীন কালের ; অণর “১০ ভাগের ৩ ভাগ”—এই নির্ণয় অধুনা কালের ; অতএব ২ ভাগ মাত্র অধিক হওয়া অসম্ভব মহে । “জলময় অংশ সমুদ্র”—এতদনুসারে সমুদ্র এক হইলেও মধ্যে মধ্যে তাছার আকার প্রকার ও সংস্থান সন্নিবেশের ভিন্নতা থাকাতে অর্ষ্যরা উহার সপ্তত্ব কল্পনা করিয়াছিলেন । তন্নিমিত্তই “সপ্ত সমুদ্রা ;” বলিয়াছেন । এই সকল সমুদ্রের উদরবৰ্ত্তী স্থল সকল দ্বীপ নামে বিখ্যাত। দ্বীপ সংখ্যা বহুল হইলেও প্রধানতঃ সাতটি। সেই প্রাধান্য অনুসারে শাস্ত্র