পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০১৩ নাটক, উপন্যাস প্রভৃতি প্রকাশ করিব । অমিত্ৰাক্ষর লেখার অাদর্শ । শৈলধন্বা পাণেীকরণ । ত্রিদৃক বিগানাকণি শৈলেশ কন্যক বিগত জীবিত সতী পিতৃ নিকেতনে, শূলোপরি শৈলধন্বা গ্রন্থিয়া সে বপু নাচে,—পদ ভরে টল মল করে ধর । দর্শন পাণ্ডবায়ন চক্রে খণ্ড খণ্ড করি ফেলে ধরা পৃষ্ঠে—দুর দূরান্তরে । তার পরে পুরীমোহ কর্ণ সীমস্তিনী উস্তুবিলা পৰ্ব্বতেশ গেছে, শৈলপত্র লয়ে সদা শৈলম্বন্থে পূজে, ঋষিকেশে পাইবার অংশে। রদহীন বৃদ্ধ—হয়, সম্বন্ধিলা, পাগল মহেশে, কাকোদর শোভে যার শিরে । দুশ্চ্যবন আদি দেব সকলে মিলিয়া পত্র, অনিল সভায় । বৃষভ পলকী, নাহি বরারক কণ্ঠে, না আছে বৰুত্র, নাহি পরিধেয় চীর । কালের সর্বাঙ্গে কাল, পুরীমোহ কর্ণে, শুভ্ৰ কান্তি শুভ দাতা উন্মাদ উমেশ । বিভিল উমায়, দেয় সবে হুলু ধ্বনি । এখন অমিত্রীক্ষর ছন্দ সকলের প্রিয় বলিয়াই উপরিউক্ত বিষয় উদ্ধত করিলণম। অমিত্ৰাক্ষার লেখকের প্রতি উপদেশ । ১ । সম্মুখে এক খানি অভিধান খুলিয়া বসিবে, বাছিয়া বাছিয়া অপ্রসিদ্ধ অভিধানিক"শব্দ সঙ্কলন করিয়া সন্নিবেশ করিবে । প্রলণপ সাগর (জ্ঞানাকুর চৈ৪, ১২৮২ ২ । যত কুটার্থ করিতে পার, তাহ সাধ্য মতে ক্রট করিবে না । ৩। অন্বয় করিবণর নিয়ম গুলিকে বিপর্য্যস্ত করিয়া ফেলিবে । ৪ । অলঙ্কারের দোষের ছড়াছড়ী করিবে । মিত্ৰাক্ষরের আদর্শ । চল চল প্রিয় সখী চঞ্চল চরণে, নতুবা নিশ্চয় হবে তোমার মরণে । তোমার মরণে আমি কতই র্ক দিব, হাউ হাউ করে কেঁদে চক্ষু ফুলাইব । পঢ়িবে সৰ্ব্বদা চক্ষে জল টস টস । নাসিকা করিবে সদা ফস ফস ফস । বাড়িব নাসিক আমি শত শত বার ছন্‌ ছমৃ করিবে নাক, সর্দি হবে আর । অধিক লিখিতে হলে পুথি বেড়ে যায়, মরোনা মরোন সর্থী, হায় হায় হয় । মিত্ৰাক্ষর লেখকের প্রতি উপদেশ । ১। প্রতি ছত্ৰে যেন ১৪টা করিয়া অক্ষর থাকে । ২ । অর্থ থাকুক বা না থাকুক, শেষ কথা টানিয়া মিলাইয়া দিবে। ৩ । ভাবেব প্রতি লক্ষ্য করিবে না, সমুদায় লেখা হইলে অভাবও থাকিবে না, পাঠক টানিয়া ভাব বাহির করি বেন । গদ্যলেখার অাদর্শ । বসুন্ধরা নিস্তব্ধা, কেননা সন্ধ্যাসমাগতা, তৎকরণক অন্ধকারাবৃত্তা প্রেতিনী সদৃশ। কিন্তু তা জন্তু বিশেষা