পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কর চৈঃ, ১২৮২) দর্শনে ভীতা; সুতরাং নিস্তব্ধা । চিত্ত ভয়াতুরতাচ্ছন্ন, এতৎভাবাপন্ন চিত্ত ভয়বিহবল না হইবে কেন ? সমাগত সন্ধ্যা নিতান্ত সহজ সন্ধ্যা নহে, অমনিশির সমাগম। ছোরা দ্বিপ্রহর। বিভাবরীগতে আর্য্যগৃহস্ত গৃহে নৃমুণ্ডমালিনী কপালিনী শিবমোহিনী মহাকাল হৃদিবিলাসিনী রণেন্মত্ত৷ শ্যাম মায়ের আবির্ভাব হুইবে । গদ্যলেখকের প্রতি উপদেশ । ১ । সরল লিখিবার চেষ্টা করিলে ঠকিবে। ২। উৎকৃষ্ট শব্দ ব্যবহারে কৃপণতা করিবে না । ৩ । এক ধার হইতে বর্ণন করিয়া যাইবে, লাগে তীর, না লাগে তুক্কা । ৪ । বিশেষণের শ্রণদ্ধ করিবে । ৫ । এক নিশ্বাসে যত খানি দৌড় দিতে পার, যাইয়া ছাপ ফেলিবে অর্থাৎ ছেদ দিবে। অfর-অধিক লিখিবার প্রয়োজন নাই, যে বুদ্ধিমান হইবে সে দুকথায় বুঝিয়া লইতে পরিবে । মুখের ধন্দ লাগিবে, ভার সন্দেহ কি ? সাহিত্যিক তরঙ্গের মধ্যে ঔপন্যাসিক ও নাট্য স্রোত আজ কাল অধিক দেখিতে পাওয়া যায় । ক্রমাস্বয়ে আমি তাছার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দিতেছি। আমার এই প্রলাপ সাগর প্রস্তাব পাঠ করিয়া অনেকে আমাকে প্রলণপ সাগর S 9 a পাগল বলিয়া উপহাস করবেন, কিন্তু আমি পূর্বেই বলিয়াছি--আমি পাগল, জ্ঞান কাও বিবৰ্জ্জিত । শাস্ত্রকারের কবি ও পাগলকে এক শ্রেণীভুক্ত করিয়াছেন, কিন্তু এ কথায় এমন কেহ মনে করিবেন না যে, আমি কবি শ্ৰেণীভুক্ত হইবার জন্য পাগল বলিয়া পরিচয় দিলাম । তবে আমার এই সকল পাগলামীর পরিচয়ে কেহ আমাকে কবির শ্রেণীভুক্ত করিতে চাহেন, উহাকে সম্পূর্ণ স্বধীনতা দিলাম। যাহা হউক এখন প্রকৃত প্রস্তাবের অনুসরণ করি । উপন্যাস লেখার অদশ । বরবর্ণিনী হাসিলেন,—সুলোচনা আবার হাসিলেন,—ওষ্ঠের সীমদ্বয় কিঞ্চিৎ ফেরালো হইল। কি মধুর হাসি,~~পাঠক চেয়ে দেখ, ছিঃ—তুমি এমন বদূরসিক,—এমন সময়ে চক্ষের পলক ফেলিলে! তোমার অদৃষ্ট নিতান্তু মন্দ–আমি কি করিব । আমি তোমাকেই দেখাইবার জন্য এত যত্ব করিয়া, যুবতীকে এত অনুরোধ করিয়া একটু ছাসাইলাম। কাল পলক আসিয়া সে সময়ে তোমার চক্ষুকে অধিকার করিল,— এখন আমার দোষ দিলে চলিবে কেন ? এখন পাঠক অন্য দিকে চল, আর কিছু নুতন দেখিতে পাইবে । " - দেবালয়ে ঘণ্টা বাজিল,—জাবার