পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২৪

দীন দীর চৈ2.১২৮২) বিমল । रुई *ी द्विष्ळ्न ! গ্রীষ্ম কালের এই সময়টা কি মনোরম ! স্থৰ্য্য ডুবে নাই কিন্তু ঐ ডুবে । পৃথিবী একটা মনোহর বর্ণে বিমণ্ডিত ; রাঙ্গ নয়, স্বর্ণ বর্ণ নয়, হরিৎ নয়—একটা মনোহর বর্ণ । আকাশ নিৰ্ম্মল-সাদ আর কলেমেঘে পূর্ণ। এক খানি সাদা মেঘ সংসারের রঙ্গ দেখিতে দেখিতে ছুটিতেছে। কিন্তু ঐ যা—মেঘ খানি ভাঙ্গিয়া গেল । ভগ্ন অংশ দ্বয় আর দুই খানি মেঘের সহিত মিলিল। না মিলিয়া কিছুই থাকিতে পারে না। প্রকৃতি সকলকে সতত মিলিতে শিখা- | ইতেছে। জড় মেঘ বিচ্ছিন্ন হুইল, কিন্তু তাহা তৎক্ষণাৎ পরের দেছে নিজ দেহ ঢালিয়া দিল । এ সংসারে মিলন ই স্বভাব সিদ্ধ । যাহা স্বভাবসিদ্ধ তৎসাধনই সুখ । মিলন জগতের প্রধান সুখ । তুমি মনুষ্য, তুমি সময়ে সমরে এই প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ কর কেন ? ধন, মান, বিদ্যা, বুদ্ধি, কিছুই তোমার সঙ্গে আইসে নাই । তুমি যখন জন্মিয়ছিলে তখন মাতৃগৰ্ব হইতেই সম্পত্তি রাশি সঙ্গে লইয়া আইস নাই । বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাধিও তোমার সহিত আইসে নাই । যাহাকে তুমি মুর্থ বা দরিদ্র বলিয়া ঘৃণা করিতেছ, তাছার জন্মবৃ বিমল ৷ SR> S ক্তান্তও অবিকল তোমার ন্যায় । জfনিও ভজন্য কোন প্রভেদ হয় নাই । তবে কেন ধনবান্‌ ! তুমি দরিদের সহিত মিলিতে চাহ না ? কেন বিদ্বীন ! তুমি মূর্থের সহিত সহবাস ইচ্ছা কর না ? –মেঘ বিচ্ছিন্ন হুইয়া আবার মেঘের সহিত মিলিল। এইরূপে মেঘমণ্ডলী মিলিয়া আকাশে বড় রঙ্গ করিতেছে । এক স্থানে কতকগুলি মেঘ সমবেত হইয় ভয়ানক রক্ষসের ন্যায় আকার ধারণ করিতেছে ; অপর স্থানে মেঘ সকল মিলিত হুইয়। তুষারাবৃত শ্বেত গিরির ন্যায় শোভ প্রদর্শন করিতেছে । বির বির করিয়। অনতি শীতল বায়ু প্রবাহিত হইতেছে। ক্ষুদ্র क्रूमें কয়েকটী পক্ষা শূন্যে উঠিতেছে, নচিতেছে, উড়িতেছে, পড়িভেছে। একটা ক্ষুদ্র পক্ষী অনেক দূর উঠিল,—ঐ গেল—অদৃশ্য হইল । উচ্চে উঠিয়া পার্থী পাখা ছাড়িয়। দিল—একেবারে অনেক দূর নামিয় পড়িল । পার্থী বুঝি দেখাইল-অধিক উঠিলে এইরূপে পড়িে হয় । এইরূপ সময়ে বিমলা এক আশৈশব পরিচিত আত্মীয়ার আলয় হইতে নিজালয়ে প্রত্যাগমন করিতেছেন । অদ্য আত্মীয়া বিশেষ কৰ্ম্মেণপলক্ষে বিমলাকে নিমন্ত্রণ করিয়া বাট লইয়। গিয়াছিলেন । বিমল সমস্ত দিন