পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#iনাকুর চৈ৪, ১২৮২) যাহাই হউক এই আশ্চর্য জীবের দে রাত্ম্যে অবন্তীপুর তোলপাড়, তথাকার লোক সমস্ত অস্থির ও জ্বালাতন । মালতীর প্রকৃতি সৰ্ব্বথা ৰুদ্রেকান্তের বিপরীত । তিনি অপেক্ষাকৃত দরিদ্র তনয় । কলিকাতা সন্নিহিত কোননগরে তাহার পিত্ৰালয় । পিতা মাতার যত্নে মালতী যে লেখা পড়া শিখিয়াছেন, “কলেজের ঔট” ৰুদ্রকাস্তুের হাতে না পড়িলে, তাছা বিশেষ গৌরবের হইত সন্দেহ নাই। স্বামীকে অন্তরের সহিত ভক্তি করা যে স্ত্রীর পরম ধৰ্ম্ম মালতী তাছা বিশিষ্ট রূপে জানিবেন । এজন্য ৰুদ্ৰকাস্তুের স্বভাব যৎপরেণনাস্তি কলুবিত জানিয়াও মালতী কদাচ তাহাকে ঘৃণা বা অবহেলা করি তেন না, বরং ষাহাতে ৰুদ্ৰকান্তের স্বভাব সংশোধিত হয়, মালতী কায়মনোবাক্যে তাহারই চেষ্টা করিতেন । রূদ্রেকান্ত মালতীকে দুই চক্ষের বিষ দেখিতেন । মালতীর সহিত কিয়ৎকাল সহবাস করিতে হইলে তিনি ঘোর বিপদ ও যাতনা বোধ করিতেন । স্বামীর বিরাগভাজন হওয়া অপেক্ষ রমণী জীবনে আর অধিক শাস্তি কিছুই হইতে পারে না । সুশীলা মালতীর ক্লেশের সীমা ছিল না। অন্ন, বস্ত্র, দাস, দাসী কিছুরই অভাব ছিল না, কিন্তু রমণী জীবনের সার সম্পত্তি স্বামী প্রেম কেমন বিমল । ఫి & অমূল্য সামগ্রী তাহা তিনি কখন জগনিতে পরিলেন না । এ ঘোর মৰ্ম্মবেদনার কে প্রতিলিধান করবে ? কে র্তাহার পক্ষ অবলম্বন করিয়া তাহার স্বামীর চরিত্র সংশোধনের চেষ্টা করিবে ? *াল্লিগ্রামের জমিদারের দোদও প্রতাপ । ৰুদ্ৰৰুণন্ত একটা ছোট kis সিরাজ উদ্দৌলা । কাছার সাধ্য র্তাহার বিৰুদ্ধে কথা কয় ? প্রজাগণ নীরবে ৰুদ্ৰকাস্তুের উৎপাত সহ্য করত। উপায় নাই। যদি বা জনরব এবম্বিধ কঠিন শাসন সমস্ত উল্লঙ্ঘন করিয়া কখন পুত্রের কোন নিন্দার কথা পিতার কণে বহন করিত, তিনি তৎক্ষণাৎ হাসিয়া বলিতেন,—“যৌবনে এ দোষ অপরিহার্ষ্য ।” সুতরাং মালতীর ক্লেশের প্রতিবিধান অসাধ্য। মালতী পরম সুন্দরী। র্তাহার বয়স সপ্তদশ বর্ষ। ছয় বৎসর কালে তিনি সুবর্ণ পিঞ্জরের পক্ষিণীর ন্যায় ৰুদ্রকাস্তুের অবরোধ নিৰুদ্ধা । ইতিমধ্যে এক দিনও তাছার স্বামী তাছাকে প্রীতিপূর্ণ পবিত্র সম্বোধনে সম্ভাবিত করেন নাই। সে ত দূরের কথা—ঘৃণা সুচক কথা ও অভদ্র জনোচিভ ব্যবহার ভিন্ন তিনি কদাচ ভদ্র ব্যবহার করেন নাই । মালতীর এ অসুলভ সৌন্দৰ্য্য, পবিত্র সরলতা, মোহিনী বিনয়, অসাধারণ শিষ্টাচার প্রভৃতি । সদগুণ সমস্তই ভষ্মে স্থত হুইল ! দিবা