পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ কর চির মেঘাচ্ছন্ন রহিল—- এ বিমল কমলকে প্রফুল্ল করিল না ; পৌর্ণমাসীর শশধর জলদ পটল সমাচ্ছন্ন হইল—চকোরিণী আনন্দ পাইল না ; প্রচও বাত্যা কাক চক্ষু সন্নিভ মেঘরাশি অপসারিত করিল—তৃষিত চাভকিনী বরিধারা পাইল না । এ কুসুমের অনুপম শোভা যে দেখিবার সে দেখিল না ;–ইহার সত্তেণয সংশপধিনী সৌরভ যে সম্ভোগ কুরিবার সে সম্ভোগ করিল না । অtশ্রয় তৰুর শাখা নাই, এ লতিক কিরূপে শোভা বিকাশ করে ? মালতীর দুঃখের সীমা নাই । অদ্য মালতীয় পরম সৌভাগ্য! কন্দ্ৰকান্ত অদ্য র্তাহার প্রকৌষ্ঠে প্রবেশ করিয়াছেন। ভুলিয়া আসেন নাই, তাহা হইলে আসিবা মাত্র চলিয়া যাইতেন । না–ভুলিয়া আসেন নাই। মালতীর পর্ষ্যঙ্কে ৰুদ্ৰকান্ত উপবিষ্ট । মালতী সভয়ে, অবনত মস্তকে, অথচ সানন্দিত ভাবে পাশ্বে দাড়াইয়া । মালতী ধীরে ধীরে মধুর স্বরে কহিলেন,— “আজ যে দাসীর প্রতি বড় অনু ●ांश् ।।' ৰুদ্ৰকান্ত ৰুক্ষনভাবে বলিলেন,— “আমার দরকার আছে ।” মালতী কহিলেন,— বিমল । (জ্ঞানাকুর চৈঃ, ১২৮২ “হতভাগিনীর অদৃষ্ট কি এভ প্রসন্ন হবে যে, তুমি বিনা প্রয়োজনেও আমার নিকট আসিবে ? যাহাই হউক আমার নিকট যে তোমার কোন দরকণর পড়িয়াছে, ইহাও আমার পরম সৌভাগ্য ; যদি তোমার প্রয়োজন আমাদ্বারা সিদ্ধ হয়, তাহা হইলে পরমানন্দের বিষয় ।” মালতী যাহা বলিলেম, ৰুদ্ৰকান্তের শ্রীতি যুগলে তাহা প্রবেশ লাভ করে নাই ; তাহার মন অন্যদিকে ছিল । কহিলেন,— “ওহে! আমার বরাত অাছে, শীঘ্ৰে যাইতে হইবে ।” মালতী বলিলেন,-- | “যদি দয়া করে এসেছ, একটু ব’স । দাসীর ভাগে এমন ঘটনা ঘটে না ।” কন্দ্রকণন্তু বলিলেন,— “আমার এত সময় মাই ষে, তোমীর সঙ্গে এখানে বসে বৃথা সময় কাটাই ।” মালতী বলিলেন,— “ভাল, তোমার যদি কাজ থাকে, কি সময় না থাকে, তা হলে আমি এমন বলি না যে, তুমি সব বন্ধ করে আমার কাছে থাক । সে সুখ বিধাতা এ হতভাগিনীর অদৃষ্টে লেখেন নাই ।”— ৰুদ্ৰকাত্ত রাগত স্বরে বলিলেন,-- “আঃ ! আমি তোর নাকে কাম