পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান কুর চৈঃ, ১২৮২) শুন্তে আসি নাই। জ্বালাভন করিস Fil t" মালতীর চক্ষে জল আসিল । কষ্টে অশ্র সম্বরণ করিয়া কছিলেন,--- “তুমিই তো আমাকে কাদাচ্চ। এ কান্না তুমি না শুৰুলে কে শুম্বে ?” ৰুদ্রেকণন্ত বলিলেন,— “আমার এত দায় নাই । আমি টের শাস্ত্র পড়িয়াছি। স্ত্রীর কাছে দিবারাত্রি বসে থাকৃতে হবে, এমন কোন শাস্ত্রে লেখে নি ।” মালভী চক্ষু মুছিয়া কহিলেন,— “তা লিখে নি কিন্তু স্ত্রীকে সতত কাদণতে হবে, এমন ব্যবস্থা লিখেছে কি ?” - মহাবিরক্তির সহিত কছিলেন, — “ভাল জ্বালা ! কে তোরে ঘরে মারছে যে তুই কাদছিস ?” মালতী সজল নয়নে কছিলেন, — “এ কষ্টের চেয়ে মার ভাল ।” ৰুদ্ৰকাত্ত পৰুষ ভাবে কছিলেন,— “কষ্ট টা কি ? ধে তোর বিদ্যা না জানে তার কাছে গিয়ে কষ্টের কথা বলে কঁাদিস, তার দয়া হবে । আমি সব জানি ; ভোর বাপ বেটা মছা পাপুরে। তার বাপের জন্মে লক্ষনীর সংস্থান নাই। আমি ধেই ভোরে দয়া করে বিয়ে করেছি সেই ভোর এত সুখ । তাই এত গছনা, ভাল ৰাষ্ট্ৰকাত্ত عbډ বিমল | ২১৭ কাপড়, চাকর, নক্ষর, সুখের সীমা নাই, এততেও তোমার কষ্ট। ওরে আমার কষ্ট রে । এতেও যদি মন না উঠে, তবে না হয় বাপের বাড়ী গিয়ে ফুটে কুড়িয়ে খাওগে ।” মালতীর চক্ষু দিয়া দরদরিত ধারায় ༈་ཝ་རྫོང་ প্রবাহিত হইতে লাগিল । তিনি অঞ্চলে বদনাৰ্বত করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন । কন্দ্রকান্ত মছ বিরাগের সহিত কছিলেন,— “আমি এলেম ওঁর কাছে, তা ভাগ্য বলে মানা নেই, আবার উপরস্তু কান্না ! থাক তোর কামা নিয়ে,--আমি চল্লেম ।’’ বদনোয়ুক্ত করিয়া মালতী দেখিলেন, ৰুদ্ৰকান্ত যথার্থই চলিয়া গিয়াছেন । সরল অভিমান-প্রবণ-হৃদয়া মালতী যথায় দাড়াইয়ছিলেন, ভথায় বসিয়া কাদিতে লাগিলেন । কে তাছার দুঃখে দুঃখিত হুইবে ? কে তাছার মৰ্ম্মবেদন বুঝিবে? ৰুদ্ৰকান্ত চলিয়া গেলেন । পাষাণ সহজে অঙ্কিত হয় না । ৰুদ্ৰকাস্তের হৃদয়ে মালতীর রোদন জন্য অঙ্কপাত হইল না । তিনি চলিয়া গেলেন । কিয়দর গমন করিয়া কি মনে হইল । আবার ফিরিয়া মালতীর প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিলেন । কছিলেন,— “ৰে দৌরাত্ম্য—এখানে এসে ভো কাজের কথা হবার উপায় নাই । আমি