জ্ঞানাকুর চৈঃ,১২৮২) ভুল করিয়াছিলাম ! আমার সহিত সমান উত্তর ?” এই বলিয়া পাষণ্ড, নৃশংস ৰুদ্রকান্ত মালতীয় নবনীত নিভ সুকোমল, সুন্দর বদনে তিন চারি পদাঘাত করিয়া বাক্স হস্তে প্রস্থান করিলেন ! ! ! মালতী ধরাবলুষ্ঠিত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন। পাদুকার আঘাতে বদনের স্থানে স্থানে ক্ষত বিক্ষত হইয়াছিল । সেই সকল ক্ষভমুখ প্রবণহিত ৰুধির ধারায় মালতীর অনুপম বদন-মণ্ডল প্লাবিত হইল ! ! ! যদি আমাদের সমাজের যাবতীয় নিয়ম অতি সুব্যবস্থা ও বিজ্ঞতার সহিত নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছে স্বীকার করা যায় ; যদি আমাদের ধৰ্ম্ম প্রণালী, রীতি, নীতি সমস্তই নিরতিশয় উচ্চ সভ্যতার আদেশ স্থল বলিয়া গ্রাহ্য | করা যায় ; যদি আমাদের বিদ্যা বুদ্ধি ভূতলস্থ সমস্ত জাতি অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ | হয় ; তথাপি আমাদের পরিণয় সঙ্গন্ধীয় ঘোর অদূরদৃষ্ট, অবিমৃঘ্য, নৃশংস নিয়ম চিরদিন আমাদের জাতীয় কলঙ্ক স্বরূপ থাকিবে । জাতীয় ইতিহাস অনন্তকাল এই নৃশংস কাহিনী জন সমাজে প্রচারিত করিবে, তাহার পৃষ্ঠ হইতে ইহা অপসারিত হইবে না। এ ঘোর শোকাবহু অত্যাচার অর কিছুতেই লুকায়িত রছিবে না। এই বিমল |
- సె
জঘন্য নিয়ম নিবন্ধন আমাদের সমাজকুসুমে অসততা কীট নিয়ত বাস করে, এই জন্যই অতুলনীয়া বঙ্গ সীমন্তিনীগণ পবিত্র মানব জন্ম পশুবৎ অতিবাহিত করে, এই জন্যই স্বগীয় শান্তি ও আনন্দ বঙ্গীয় পরিবার মধ্যে স্থান না, এই জন্যই পবিত্র প্রণয় রূপ পরম সুখ বঙ্গীয় হৃদয়ে কদাচ প্রবেশ করে না, এই জন্যই নিত্য মিত্য শত শত নর নারী স্ব স্ব স্বগীয় সততা বিসর্জন দিয়া পাপের পঙ্কিল হ্রদে প্রবেশ করে। এই ভয়ানক কঠোর সমাজ শাসন হইতে অহরহঃ বঙ্গদেশে যে কত শত অভিনব অনৰ্থপণত হইতেছে, কে তাছার ইয়ত্ত করিতে পারে ? কে জানে কত দিনে বঙ্গীয় সমাজ হইতে এই নিষ্ঠুর নিয়ম বিদুরিত হইবে ? কে জানে কত কালে বঙ্গ পরিবার সন্তোষ, আনন্দ ও সুখের নিলয় রূপে পরিবর্তিত হইবে ? উচ্চশিক্ষাই দেশের প্রকৃত উন্নতির লক্ষণ নয়, দীর্ঘ উপাধি সমুছও উন্নতির কীরণ নয়, অথবা আমরা যে কিছু লইয়া গৌরব করি তৎসমস্তও প্রকৃত উন্নতি নয়। প্রকৃত উন্নতি সামাজিক সুব্যবস্থার সহিত দৃঢ় সম্বদ্ধ । ভৎসাধনে যত্নশীল ছও উন্নতি লাভ করিবে, নচেৎ দেখিতে মনোরঞ্জন হইলেও পূর্ণ বিকসিত পলাস কুমুমবৎ এ উন্নতি অন্তঃসার বিহীন হুইয়া থাকিবে । ,
