পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ o রসসাগর । (জ্ঞানাঙ্কুর চৈঃ,১২৮২ রসসাগর । পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর । যখন মহারাজ গিরিশচন্দ্র রায়ের পিতৃব্য দিগ্‌বিজয় চন্দ্র রায় বারাণসী ৰামে ছিলেন, সেই সময়ে রসসাগর একবার কাশী যান। উভয়ের সাক্ষাৎ হইলে দিগ বিজয় চন্দ্র প্রশ্ন করিলেন ;–“ছি ছিছি অমৃত পান করেছিলাম কেনে ?” রসসাগর নিম্ন লিখিত রসভাব সমন্বিত কবিতা পূরণ কৰিলেন ;– জলে কিম্ব স্থলে মৃত্যু জ্ঞানে কিঅজ্ঞানে । মহামন্ত্ৰ মহেশ অণপনি দেন কানে ॥ মলে জীব হয় শিব যৎক্ষণে তৎক্ষণে । দেবগণের অtভনগদ অগস্ত্র অভিমানে ॥ অবিমুক্ত বারাণসী মহিম কে জানে। অমর মরিতে চাহে আসি কাশী স্থানে ॥ মলে হতেম দেবের দেব আনন্দ কাননে । ছিছিছি অমৃত পান করেছিলাম কেনে ॥ দেবগণ অমৃত পানে অমর হুইয়াছেন ; কাশীতে মৃত্যু হইলে দেবের দেব মহাদেব হইয়া অননদ কাননে বিরাজিত হইতে পারিতেন, অমর বলিয়া দেব ভাগ্যে তাহ ঘটে না এই জন্য দেবগণ অপক্ষেপ করিয়া কছিতেছেন—কেন না বুঝিয়া অমৃত পান করিয়াছিলাম। এরূপ চমৎকার রসভাব সম্বলিত 'দ্রুত রচনা অতি বিরল । , একদা রাজ সভায় প্রশ্ন হুইল, “মক্ষিকার পদাঘাতে কাপে ত্রিভুবন।” রসসাগর পূরণ করিলেন – যশোদার কোলে কৃষ্ণ তুলিলা ভূস্তন। লীলাছলে মুখ মধ্যে দেখান ত্রিভুবন ॥ পতঙ্গ পরশে ব্যস্ত মস্তক হেলন । মক্ষিকার পদাঘাতে কঁপে ত্রিভুবন ॥ কপালে মক্ষিকা মস্তক কঁপাইলেন, সেই সঙ্গে তাহার মুখ মধ্যে প্রতিবিম্বিত ত্রিভুবন কাপিয়া উঠিল। এরূপ কুটভাব আনিয়া দ্রুত রচনা মধ্যে সন্নিবেশ করা সাধারণ ক্ষমতার বিষয় । একবার প্রশ্ন হইল “নিশিতে উদয় পদ্ম কুমুদিনী দিনে।” রসসাগর পূরণ করিলেন ;– - জয়দ্ৰথ বধের প্রতিজ্ঞ। পলে। মনে । চক্রান্ত করিল চক্রী চক্র আচ্ছাদনে ॥ অকালেতে কাল নিশি উভয়ে না জানে। নিশিতে উদয় পদ্ম, কুমুদিনী দিনে ॥ অন্যায় যুদ্ধে অভিমনুর মৃত্যু হইলে অর্জুন শোক সন্তপ্ত হৃদয়ে প্রতিজ্ঞ করিলেন, আগামী কল্য স্বৰ্য্যদেব অস্ত যাইবার পূর্বে জয়দ্রথকে বধ করিব, যদি কৃতকাৰ্য্য ন হই, তবে অগ্নি প্রবেশ দ্বারা আত্ম জীবনের বিনাশ করিব। জয়-- বসায় কৃষ্ণ