পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর চৈঃ, ১২৮২) দ্ৰেথ বধ সময়ে শ্ৰীকৃষ্ণ যে কৌশল করিয়া ছিলেন, তাহা সকলেই অবগত আছেন । তাহাই অবলম্বন করিয়া রসসাগর এই কবিতা পূরণ করিয়াছিলেন । একদা রসসাগর কিঞ্চিৎ বেতন প্রার্থনায় রাজবাটীর প্রধান কৰ্ম্মচারী রামমোহন মজুন্দারের নিকট উপস্থিত হইলেন । মজুমদার অতি সুচতুর লোক ছিলেন। রাজ বাটীর অবস্থা তখন অতি মন্দ হইয়াছিল, অতি সুকৌশলে মজুমদার রাজসংসার চালাইতেছিলেন। সে সময়ে অনেকের টাকা পাইতে বিলম্ব হইত। ওদিকে প্লে'ডিন সাহেব ব্রহ্মোত্তর কাড়িয়া লইয়া তাছার উপর কর সংস্থাপন করিতেছিলেন, এজন্যও রাজকোষে বিশেষ টানাটানী পড়িয়াছিল । রসসাগর মজুমদার মহাশয়ের নিকট উপস্থিত হইয়া টাকা চাছিব মাত্র তিনি বিরক্ত হইয়া কহিলেন “আর মেনে পারিনে ৷” রসসাগর উহার এই পাদ পূরণ করিলেন – দাড়ী ফেলে ঐ ফেঁদে, শুধু হাড়ী পণত বেঁধে, ৰচনে রেখেছি ছেদে, আশা ভঙ্গ করি নে । সবে বলে মজুমদার, দয়া ধৰ্ম্ম কি তোমার. ' তিরস্কার পুরস্কার, তৃণ বোধ করি নে ? রসসাগর । ミミ> খরচ চাই দণ্ড দণ্ড, ন মেলে রজত খণ্ড, কোন রূপে কৰ্ম্ম কাণ্ড, ক্রিয়ণপণ্ড করি নে | কোম্পানী কুপিত তয়, দ্বাদশ স্বৰ্ষ্য উদয়,

  • প্লোডিনের পূর্ণ দায়,

বাচি গুনে মরিনে ॥ সকলি দুঃখের পড়া, এ রস সাগরে চড়া, শ্ৰীচরণ ছায়া ছাড়1, কারে ধীর ধরি নে ! তিন দিকে তিন তেতম্বা, কিবা হবে অপরস্ব1, কুল দেও জগদম্বা, অণর মেনে পারি নে ॥ একদা রাজীব লোচন নাম কোন ব্যক্তি বিরক্ত হইয়া রসসাগরকে করিলেন ‘ঘোল খাবে হরিদাস, কড়ি দেবে নিধি ।" রসসাগর পূরণ করি লেন;– আত্ম বিস্মৃত হলে রাজীব লোচন। এ রস সাগরে দেখে ভঙ্গ দশানন | কট গেল সেনাপতি দেখা দিল বিধি । খোল খাবে হরিদাস, কড়ি দেবে নিধি ॥ উপরিউক্ত শ্লোকটর মৰ্ম্ম এই— পূর্বে রাজ সংসার ভুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহাল ইজারা দেওয়া হইত। কাছাকে